ইনি আবদুল মজিদ। পরের জমিতে কাজ কাম করে দিন আনে দিন খায়। ২০১৩ সালে জীবিকার তাগিদে তার বড় ছেলে মাহবুবুল আলমকে পাঠিয়েছিলেন গার্মেন্টসে চাকরি করার জন্য। সাভার বাস স্ট্যান্ড এর পাশে একটি বহুতল ভবন রানা প্লাজায়। নব্য বিবাহিত মাহবুবুল আলমের বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় খবর আসে ভবনটি ধ্বংসে তার নিচে চাপা পরে আছে। ঘটনার ১৭ দিন পরে ছেলের লাশটা জুটেছিলো অভাগা পিতার ভাগ্যে।
সে সময় ব্র্যাক এনজিওতে নতুন বউ কে উদ্দেশ্য করে একটা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে সঞ্চয় করেছিলো যতসামান্য টাকা। আজ মাহবুবুল আলমের মৃত্যুর ৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর জানতে পারে সে ব্রাক এনজিও থেকে কিছু টাকা প্রাপ্ত হবেন।
এতদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার জন্য তার প্রাপ্ত টাকা থেকে বঞ্চিত ছিলো।
গতকাল (২৯ জুন) অনলাইন দৈনিক কপোতাক্ষ নিউজে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে কৃষ্ণপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান এর ভাতিজা পান্ডুঘর সামসুদ্দিন আহাম্মদ ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের হ্যাড মাওলানা জনাব হাফেজ মোঃ তরিকুল ইসলাম সাহেবের সহযোগিতায় তার খোঁজ মেলে। অতঃপর তার সমস্থ দেনা পাওনার নিশ্চয়তা সম্পন্ন হয়।
তথ্যসূত্রমতে জানা যায়, সরকারি বেসরকারি সংস্থা মিলিয়ে যে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কথা তার এক তৃতীয়াংশ পায়।
গতকাল সাভার ব্রাক অফিস কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় সরকার এর তত্বাবধানে আবদুল মজিদ তার সমস্থ অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নিজ হাতে গ্রহণ করার নিশ্চয়তা পায়।
এমন সুন্দর সংবাদ প্রকাশ করায় এলাকা বাসী দৈনিক কপোতাক্ষ নিউজ ও অত্র পত্রিকার কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি আলমগীর হোসাইন সবুজ কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।