সিরাজগঞ্জ কাজীপুরে পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ,ফসলের ব্যাপক ক্ষতি




মাসুদ রানা সিরাজগঞ্জ জেলাপ্রতিনিধি ঃ
 উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বর্ষণে কাজীপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৫ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নদীর দু'কুল ছাপিয়ে   চরাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নের বাড়ী ঘরে পানি ঢুকে পড়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে লক্ষাধিক মানুষ। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে পাট, আউশ ধান,  ভুট্টা, বাদাম, সবজি খেত বীজতলা ও গোচারণ ভুমি। বিশেষ করে কাজীপুরের সিংহভাগ কৃষকের সোনালী স্বপ্নের ভিত গড়ে দেয়া পাটখেত পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে।  সবখরচাদী শেষ আর কয়েকদিন পরেই  এই ফসল  কৃষক ঘরে তুলতে পারত।  
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ.কে.এম.রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ব্যাপক বৃদ্ধি  পেয়েছে। মঙ্গলবার   সকাল ৬টায় কাজীপুরে যমুনায় বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে  আশার কথা কর্তৃপক্ষ বুধবার থেকে কমার আশা করছেন।  
কাজীপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ পর্যন্ত ১০৫ হেক্টর আউশ ধান, ২০ হেক্টর ভুট্টা, ৩০ হেক্টর আখ,  , ৫৫ হেক্টর শাকসবজি এবং ২৪১০ হেক্টর মিলে মোট ২৬২০ হেক্টর  জমির ফসল  পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। 
কাজীপুর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা রেজাউল করিম  জানান, ‘ এতে করে মোট কুড়ি হাজার কৃষক ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছেন। পানি সহসা কমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।  
এদিকে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি  নিয়ে পড়েছে বিপাকে। তাদের মধ্যে  বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও খাবারের সংকট দেখা দিচ্ছে।  বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার বাঁধে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
 কাজীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহা আলম মোল্লা জানান, আমরা খোঁজখবর রাখছি। ২৩ মে.টন চাল আমাদের হাতে রয়েছে। অবস্থা বিবেচনায় আরও চাহিদা দেয়া হবে। পানিবন্দী পরিবারের  তালিকা তৈরী করে সরকারী ত্রাণ দেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ