ঝিকরগাছায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ কৃত টিন দিয়ে চায়ের দোকানের চাল (ছাউনি)তৈরি





স্টাফ রিপোর্টারঃ ঝিকরগাছা উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ কৃত টিন দিয়ে চায়ের দোকানের চাল ( ছাউনী) তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে।জানা যায় যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে ঘর তৈরীর জন্য টাকা ও টিন বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই বরাদ্দকৃত টিন অত্র উপজেলার ১নং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ব্যাংদাহ গ্রামের মৃত মালেক ধাবক এর ছেলে রূপচাঁদ ধাবক ঘরের চাল তৈরির পরিবর্তে চায়ের দোকানের ছাউনি দিয়েছে।
এই ব্যাপারে অত্র গ্রামের বাসিন্দা ও ১ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোবারক হোসেন দৈনিক কপোতাক্ষ নিউজ কে জানান ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ব্যাংদাহ গ্রামের যে সকল ব্যক্তিদেরকে ঘর মেরামতের জন্য টিন ও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তাদের আম্পানের দ্বারা কোনো ক্ষতি হয়নি বরং যে সকল অসহায় দরিদ্র মানুষের ঘরের চাল উড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন ব্যাংদাহ গ্রামে রূপচাঁদ ধাবক পিতা-মৃত মালেক ধাবক, বিকাশ  পিতা আরব আলী কে এইটিন ও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে দেখানো হয়েছে তাদের ঘরের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রকৃত অর্থে এ-ই দুই জনের ভিতর রুপচাঁদ ধাবকের  ঘরের চালের একটি মাত্র টিন ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে কিন্তু   বিকাশের ঘরের কোন সমস্যা হয়নি। 
তিনি আরও জানান অত্র গ্রামে আম্পানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে   ১. নাজমুল  পিতা মৃত আব্দুর রাজ্জাক, ২.হাসান পিতা মৃত সুবারেক ৩.হোসেন পিতা মৃত সুবারেক ৪.মহির উদ্দীন পিতা মৃত ইলাহি  বক্স।  কিন্তু তাদেরকে সহায়তা না দিয়ে এদেরকে এই সহায়তা দেওয়ায় গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষোভ  প্রকাশ করেছেন।তিনি আরো জানান এই বরাদ্দকৃত টিন দিয়ে রুঁপচাদ ধাবক  ঘরের চাল (ছাউনি) না দিয়ে অত্র গ্রামের বাঁশ তলার মোড় নামক স্থানে তার চায়ের দোকানের ছাউনি দিয়েছে। যে কারণে গ্রামবাসী হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই ব্যাপারে মুঠোফোনের মাধ্যমে  ঝিকরগাছার ইউএনও সুমি মজুমদার এর কাছে আম্পানে  ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে বরাদ্দকৃত টিন দিয়ে চায়ের দোকান মেরামত করার কোন বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা প্রকৃত অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের জাল মেরামত করার জন্যই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কোন চায়ের দোকান মেরামতের জন্য নয়। 
এই ব্যাপারে অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক কপোতাক্ষ নিউজ কে  জানান বিষয়টি তার জানা নেই । এমত অবস্থায় এলাকাবাসী এই ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ