দুর্বিসহ কষ্টে স্বল্প আয়ের মানুষ আশাশুনিতে শাক-সবজির দাম আকাশছোঁয়া





আহসান  উল্লাহ  বাবলু আশাশুনি ( সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
 আশাশুনিতে শাক-সবজির দাম আকাশছোঁয়া হওয়ার কারণে দূর্বিসহ কষ্টে দিন পার করছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচা তরিতরকারি ও শাক-সবজির দাম যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কাঁচা মরিচের দাম আজ ৮০ টাকা তো কাল ১২০ টাকা তো পরশু ১৫০ টাকা কেজি! অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণের কোন উদ্যোগ নেই। অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় শাক-সবজি কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এ যেন করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে মরার উপর খড়ার ঘা। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আশাশুনির হাট  বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম শতকরা ৩০০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কাঁচা মরিচ বছরের এই সময়ে ১০/১২ টাকা কেজি বিক্রি হত বৃষ্টিসহ নানা অজুহাতে তা এখন ১৫০ টাকায় পৌঁছে গেছে। বেগুনের কেজি বাজার ভেদে ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়শের কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পটলের কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, কাচকলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ওল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, আলু ৩০ টাকা কেজি, উচ্ছের কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় শাক-সবজির বাজার দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কাঁচা তরকারির বাজারদরের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, এবার সাইক্লোন আম্পান ও অতিবৃষ্টির কারণে বহু কাঁচা তরকারি ও ফসলের ক্ষেত পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। দেশের যেসকল জায়গা থেকে কাঁচা মরিচ আসত সেখানেও বৃষ্টিতে গাছ মরে গেছে। এসকল কারণে বাজারে সবজির সঙ্কট তৈরি হয়েছে এবং দামও বেশি।  এদিকে সার্বিক দিক বিবেচনা করে হাট বাজারগুলোতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারী বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ