আহসান উল্লাহ বাবলু,আশাশুনি ( সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ আশাশুনিতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে ভুয়া মৎস্যজীবি) সেজে প্রকৃত মৎস্য জীবিদের সাথে প্রতারণা, জলমহালের উপর অবৈধ পাকা বাড়ী নির্মাণের অভিযোগে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। মঙ্গলবার সকালে আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য চন্ডী চরণ গাইন, খোকন মোল্যা, তাপস মন্ডল, ফারুক মোল্যা, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। এ সময় বক্তবা বলেন, আশাশুনির দুর্নীতি বাজ, ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন কর্তৃক ভুয়া মৎস্যজীবি (জেলে) সেজে প্রকৃত মৎস্য জীবিদের সাথে বছরে পর বছর প্রতারণা করে যাচ্ছে। সরকারী নীতি লঙ্ঘন করে ধাড়িয়াখালী খাল ও হেতাইলবুনিয়া জলমহালের উপর অবৈধ পাকা বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে যাচ্ছে। ইউপি সদস্য ভুয়া মৎস্যজীবি (জেলে) সেজে নিবন্ধনকৃত হেতাইলবুনিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নিবন্ধন বাতিলের দাবীতে মানব বন্ধন করছি। সত্য উঘাটন না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই সংগ্রাম চালিয়ে যাব। প্রকৃত পক্ষে তার সমিতির নাম ছিল হেতাইলবুনিয়া যুব সমবায় সমিতি। ২০০৯ সালে উক্ত নিলকন্ঠ গংরা অবৈধভাবে ধাড়িয়াখালী ও হেতাইলবুনিয়া খাল জলমহাল দখল করে রাখলে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১৬/০৮/২০০৯ তারিখের উ:নি:অ/আশা/৯-১/০১-৭৭২(৩) স্বারকের তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু উক্ত দূর্নীতিবাজ ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন ২০/০৮/০৯ তারিখে আশাশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিবাদী করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালাতে ৮৯/০৯ (খাস) নং মিস মামলা দায়ের করেন। তদসময় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র প্রকৃত মৎস্যজীবিদের সমিতির মধ্য ইজারা দেওয়ার জন্য ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালের দিকে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে মৎস্যজীবি না হয়েও ভুয়া মৎস্যজীবি সেজে হেতাইলবুনিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি গঠন নিবন্ধন করেন। কিন্তু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভুমি মন্ত্রণালয়ের শাখা ৭ এর ২৩ জুন ২০০৯ তারিখের প্রকাশিত সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি বর্হিভুত যাহার স্মারক নং ভু:ম:/শা-৭বিবিধ (জল) ০২/২০০৯-১৯১ এর ২(খ)ও ৫এর ধারা অনুসারে নীলকন্ঠ গাইন গংরা যোগ্য নহে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এক লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়েী সে এবং তার মৎস্যজীবী সমিতির অন্যান্য সদস্যগণ সনাতন ক্ষত্রীয় সম্প্রদায়ের লোকজন। কিন্তু অতি লোভে নিজের ধর্মকে ভুলে যেয়ে ভুয়া জেলে সেজে মৎস্যজীবি সমবায়ে সমিতি রেজিস্ট্রেশন করেন। সরেজমিনে ওই এলাকায়ে উপস্থিত হয়ে দেখা গেছে তথ্য গোপন কারী ইউপি সদস্য নীলকণ্ঠ গাইন ধাড়িয়াখালি ও হেতাইলবুনিয়া খাল জলমাহলটি কুট-কৌশলে শ্রেণী পরিবর্তন করে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ছাদসহ পাকা বাড়ি নির্মাণ করে তিনি নিজেই বসবাস করে যাচ্ছেন। সমিতির অন্যান্য সদস্যরা জলমহালের খাল শ্রেণীকে ভেড়িবাঁদ দিয়ে পুকুর তৈরি করে দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে যাচ্ছে। যাহা সরকারি জলমহল ইজারা নীতিমালার পরিপন্থী। এই ঘটনার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে বড়দল ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা রনজিত কুমার মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি জানার পর আইন অনুযায়ী ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইনসহ সকলকে নোটিশ প্রদান সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। উল্লেখ্য ইউপি সদস্য নীলকন্ঠর বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণের কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকার আত্মসাৎ করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায়ে সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম হয়েছে। তদন্তে টাকা আত্মসাতের বিষয়েটি প্রমাণিত হয়ে র্মমে তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। এছাডাও ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন এর বিরুদ্ধে এলাকায়ে একাধিক দাঙ্গা, হাঙ্গামা, মামলা মোকদ্দমা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)