![]() |
কাল্পনিক হাত |
ঐ হাত ছোব বলে,
কেটেছে কতো অপেক্ষার প্রহর,
কতো না উৎকন্ঠার রজনী।
ভোরের শিশির ডিঙিয়ে,
শিউলি ফুলের অবহেলায় ফেলে আসা বাতায়নে, কাটিয়েছি কতো সময় অসময়ের যাতনার নিশি।
ঐ হাত ছোব বলে এই দুটি হাত,
ব্যাকুল বসন্ত আবেগে, জমিয়েছে পাড়ি কৈশোর, যৌবন,জীবনের মায়াবতী কত না অষ্টতিথী।
কই, সেই হাত ?
যে হাত খুঁজেছি আমি, অকৃপণ লালিত সোহাগে।
কপলে ঠেকিয়ে তালু,
চোখে কাজল পড়ার বলে,
কতবার বাঁকা তেড়া করে লাগিয়ে দিয়েছি কালো কালি।
যদি তুমি ঠেকানোর ছলে একবারও এ হাত ধর?
কতবার কপালের টিপ সোজা করার কথা বলে, দিয়েছি আরো বাঁকা করে।
যদি ভুলেও একবার এ হাত ধর?
ধূর ছাই,
আমি কি ঔ সব কাজল টিপ পড়াতে জানি ?
কতবার ভেবেছি, শাড়ির কুঁচিতে হাত দিয়ে, দেব সব ভাজ ভেঙে।
দেখবো তখন হাত না ধরে কি করে ?
নাহ্।
বারবার বহুবার, আবারও বারবার,
প্রতীক্ষায় ভরা বেদনার হাত, ঘুরে ফিরে এসে,
বিধেছে আমার বুকেই ভিখেরির মতো।
আজন্ম বেদনার্ত ব্যাথাদের ওকি অন্নপ্রাশন হয়?
নাকি সে আজীবনই কোলে কোলে,
কোল পোষা হয়ে বুকে বিঁধে থাকে ?
এ প্রশ্ন একবার নয়,
কাঙাল এই ঘৃনায় প্রত্যাখ্যাত সব নরক ঝড়া আংগুলেরা কত শতবার বিদগ্ধ করেছে আমায়।
সময়ের বোঝা এখন কাঁধ জুড়ে।
জীবনের বোঝা এখন পিঠ জুড়ে।
সবাই কে অতিথির মত বসতে দিয়েছি,
শুধু বেদনার শুন্য দুহাত কে ঝুলিয়ে রেখেছি সিকেয়।