জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তায় শ্যামনগরে সামুদ্রিক শৈবাল চাষের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তায় শ্যামনগরে সামুদ্রিক শৈবাল চাষের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সাতক্ষীরা,শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ীস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের প্রধান কার্যালয় মিলনায়তনে বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (খুলনা) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ সেন্টার (বিএআরসি) পরিচালক ড. আব্দুস সালাম। 

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সামুদ্রিক শৈবাল উপকূল অঞ্চলের লবণ পানিতে জন্ম নেওয়া এক ধরনের উদ্ভিদ। পুষ্টিগুণে ভরপুর এক অনন্য খাদ্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক শৈবাল প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ প্রযুক্তি নতুন এবং মূলত কক্সবাজার ভিত্তিক। সামুদ্রিক শৈবাল চাষের জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগর অঞ্চল হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ চাষ ক্ষেত্র। 

উপকূলীয় এলাকার ৩০ জন কৃষক ও মৎস্যজীবিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সামুদ্রিক শৈবাল প্রকল্পের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এম শাহাবউদ্দিন, সামুদ্রিক শৈবল প্রকল্পের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর পরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদ। 

বক্তারা বলেন, সামুদ্রিক শৈবাল প্রকল্প টি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আর্থিক সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য অধিদপ্তর, কৃষি অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও নদীতীরবর্তী এলাকার জনগণের জন্য এটি একটি নতুন বিষয়। তাই এই অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের এবং কৃষকদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হিসেবে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ হতে পারে। সাথে সাথে এর প্রচার ও প্রসার হলে এ অঞ্চলের জনগণের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য সামুদ্রিক শৈবাল ব্যবহৃত হতে পারে। 

উল্লেখ্য, সামুদ্রিক শৈবাল রশির মধ্যে বেঁধে লবণাক্ত পানিতে ভাসমান অবস্থায় স্থাপন করে দিলে প্রতি ১৫ দিন পর পর তা আহরণ করা যায়। এটি চাষে বিনিয়োগ খুবই কম কিন্তু এর উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। সরকারের ব্লু-ইকোনমিতে সামুদ্রিক শৈবাল একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হতে পারে বলে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ মনে করেন।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ