মোঃআরিফুল ইসলাম অনিক জয়পুরহাট (পাঁচবিবি) উপজেলা প্রতিনিধিঃ কৃষক বাঁচাতে ইরি ধানের দাম ১৫০০ টাকা নির্ধারণ করে মূল্য সহায়তা দিয়ে প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার দাবিতে জয়পুরহাট জেলা ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের মানব বন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
অদ্য ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে জয়পুরহাট জেলার পাঁচুরমোড়ে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও সাধারন কৃষক ফ্রন্ট,জয়পুরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী সভমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম বাবু'র সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জয়পুরহাট জেলা বাসদ আহ্বায়ক কমরেড অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ, জেলা ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সদস্য, সুন্দরী উরাও জেলা ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ সহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, সরকার বোরো ধানের লাভজনক দাম নির্ধারণ না করে চাতাল ও মিল মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় ধান চালের ক্রয় মূল্য ও পরিমাণ নির্ধারণ করছে। এ বছর সরকারের খাদ্য গুদামে গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩ লাখ মেট্রিক টন মজুদ থাকায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের চক্রান্তে চালের দাম কয়েক দফা বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে।
জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারি মজুদ বাড়ানো দরকার যাতে সিন্ডিকেট বাজার অস্থিতিশীল করতে চাইলে সরকার খোলা বাজারে চাল বিক্রি বাড়িয়ে এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে খাদ্য শস্য সরবরাহ করে দাম স্থিতিশীল রাখতে হবে।
কৃষক নেতা ওয়াজেদ পারভেজ বলেন,ধান ক্রয়ের কথা বললে সরকার বলে তাদের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গোডাউন নাই। অথচ ২ বছর আগে সরকার ৫ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ২০০টি খাদ্য গোডাউন নির্মাণের ঘোষণা দিলেও এখনও পর্যন্ত তা নির্মাণ করা হয়নি।
আমরা দাবি করছি দ্রুত পর্যাপ্ত পরিমাণে গোডাউন নির্মাণ করে ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে। যতক্ষণ তা সম্পন্ন না হয় ততক্ষণ বেসরকারি গোডাউন ভাড়া করে এবং প্রয়োজনে কৃষকের বাড়ীতেই ধান কিনে রাখার দাবি জানাচ্ছি।
ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে কৃষকের ন্যায্য দাবি গুলো সরকার বিবেচনা করবে বলে নেতাকর্মীরা আশা ব্যক্ত করেন।