গত টানা তিন দিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি। আজ সকাল থেকে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। দুর্যোগপুর্ণ এই আবহাওয়ার মধ্যেও এই ঈদগাহে আজ খুব সকাল থেকেই সমবেত হতে শুরু করেন মুসল্লীরা। সকাল সাড়ে ৮টায় এই জামাত অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ঠিক ৮টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয় নামাজ। এখানে ঈমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে করা হয় মোনাজাত। বৃহৎ এই জামাতের প্রধান উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি জানান, দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ার জন্য এবার কাংখিত মুসল্লীর সমাগম না ঘটলেও ২ লক্ষাধিক মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। শেষ পর্যন্ত সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
শান্তিপুর্ণভাবে বৃহৎ এই জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।এই জামাতে নামাজ আদায় করেন, বিচারপতি, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষ। বৃহৎ এই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে খুশী মুসল্লীরা।এদিকে বৃহৎ এই জামাতে নামাজ আদায় করতে আসেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লীরাও। দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন খুলনা, চাপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত এই মুসল্লীগন।বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেয়ার সুবিধার্থে এবারই প্রথম বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্যবস্থা করে দুটি স্পেশাল ট্রেনের। ঈদগাহে মুসল্লীদের জন্য স্থাপন করা হয় শৌচারগার, ওজুর ব্যবস্থা। বসানো হয় মেডিক্যাল টিম। পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে নেয়া হয় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।