নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সহকারী শিক্ষক মোঃ আসাদুর রহমান আসাদ তিনি সর্ব সময় প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে থাকার কারণে তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক-২ হিসেবে পরিচিত। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মূল হাতিয়ার তিনি। যার কারণে অন্য সহকারী শিক্ষকের তুলনায় আসাদ মাসে ২হাজার টাকা বেশি বেতন উত্তোলন করেন। ঘটনার বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মোঃ আসাদুর রহমান আসাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার পর তিনি বলেন ঘটনার বিষয়ে হেড স্যার অথবা সেকেন্ড স্যারের সাথে কথা বললে ভালো হয়।প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সামাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঐ ছেলের সার্বিক দার্য়িত্ব নিয়েছি। সমাজের লোক এখনো যশোরে আছে। ছেলেটি ডক্তারের নিকট আছে কোনো সমস্যা হবে না। আশাকরি দ্রত ভালো হয়ে যাবে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। বিষয়টি জানি না। আপনি যেহেতু বললেন আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের নিষ্ঠুর শিক্ষক আসাদের কর্মকান্ড : অবাক অভিভাবক মহল
আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা বদরুদ্দিন মুসলিম (বিএম) হাই স্কুলের নিষ্ঠুর সহকারী শিক্ষক মোঃ আসাদুর রহমান আসাদের থাপ্পড়ে মিরাজ হোসেন নামের এক ছাত্রের কানের তালা ফাটলো। এ কারণে আহত ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনাও ঘটেছিলো। শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে অবাক হয়েছে অভিভাবক মহল। আহত ছাত্র স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে পৌরসদরের কৃর্তিপুর হাওয়ার মোড় গ্রামের মোঃ গোলাম মোস্তফার ছেলে।আহত ছাত্র ও তার অভিভাবকের সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৯ জুলাই) বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের টিফিন বিরতি দেওয়া হয়। আর টিফিনের বিরতির সামান্য ৩মিনিট দেরি করে ছাত্র বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে প্রবেশ করলেই নিষ্ঠুর সহকারী শিক্ষক মোঃ আসাদুর রহমান আসাদ রাগে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে ছাত্র মিরাজ হোসেনের কানের উপর সজরে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায় তখন ছাত্রকে হাত দিয়ে টেনে তুলে আবারও একই স্থানে আঘাত করেন। পরবর্তীতে ছাত্র মিরাজ মাথা ঘুরে পড়ে গেলে তাকে তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঔষধ সহ তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সে বাড়িতে গিয়ে আবারও মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ছাত্রের অভিভাবকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায় এবং ভর্তি রেখে চিকিৎসা প্রদান করেন। বর্তমানে ছাত্রটি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে শুক্রবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইতিপূর্বে বেশ কিছুদিন পূর্বে ক্লাস চলাকালিন সময়ে এই ছাত্রের এক বন্ধু তার পিছনে বসে থাকা অবস্থায় তাকে কলম দিয়ে আঘাত করে। তখন সে তার বন্ধুর নিকট কলম ফোটানোর বিষয়ে পিছন ফিরে জানতে চাইলেই এই শিক্ষক একই ছাত্রের নিকট গিয়ে চড় মারতে থাকে। আর বলে তোকে কলম ফুটিয়েছে আমাকে না বলে তুই পিছনে ফিরে কথা বললি ক্যান ? সহকারী শিক্ষক আসাদের মাথায় যখন রাগ উঠে যায় তখন তার হিদাহিদ জ্ঞান হারিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।