পুলিশসূত্রে জানাগেছে, লাইমার মা বাবা সাথে পাকিস্থান থাকতো পরে দেশে আসার পর তার মা ফেনী জেলার এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে চলে যায়। লাইমা তার নানার বাড়িতে থাকতো। পরবর্তীতে উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মোল্লা বাড়ির ফেরদৌস মিয়ার ছেলে প্রবাসি ফারুক মিয়ার সাথে ফেইজ বুকে সম্পর্ক হলে মোবাইলে তার সাথ বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ৬ তলা বিল্ডিং এর ৫ তলায় ভাড়া বাসায় থাকতো। কয়েকদিন ধরে সে ফোন রিসিভ না করায় তার স্বামী ফারুক তার ছোট ভাইকে পাঠালে সে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান এবং ঘর থেকে উৎকট দুর্গন্ধ বের হতে লাগলে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে গলিত অবস্থায় লাইমার লাশ উদ্ধার করে।
আশে পাশের লোকজন জানান, কয়েক দিনের মধ্যে সে বিদেশে স্বামীর নিকট চলে যাইবে জানিয়েছিল লাইমা। তার স্বামীর পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না। তবে ইমরান নামের এক মামা মাঝে মধ্যে বাসায় আসতো এবং টাকার জন্য চিল্লাচিল্লি করতো। হোমনা থানার ওসি মো. জাবেদ উল ইসলাস জানিয়েছেন- লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা স্বাভাবিকভাবে দেখার উপায় নেই। লাশটি গলে গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু বাহির থেকে তালাবদ্ধ পাওয়াগেছে সেহেতু মৃত্যুটি অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। পুলিশি তদন্ত অব্যাহত আছে।