আকরাম হোসেন সুমন কুয়েত রিপোর্টারঃ
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক জীবনে
প্রত্যাবর্তন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া
সামাজিক-দায়বদ্ধতা
বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানন্তরের জন্য মৌলিক মানদন্ড
সংক্রমণ স্থানন্তরের পরিমাপ
সংক্রমিত সংখ্যা যথেষ্ট সময় স্থিতিশীল থাকা
আইসিউতে পারিবারিক সংখ্যা কম উপস্থিতি
হাসপাতালে জন সংখ্যা কম উপস্থিতি
দৈনিক সংক্রামিতের সংখ্যা হ্রাস করা
পাঁচটি ধাপে কুয়েত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে ইনশা আল্লাহ
প্রথম ধাপ
আংশিক কারফিউ
বিকাল ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত (সমগ্র কুয়েত)
আঞ্চলিক লকডাউন
ফারওয়ানিয়া, খাইতান, হাওয়াল্লি, এবং ময়দান হাওয়াল্লি
লকডাউন চলমান থাকবে
জেলীব আল শুয়োখ, মাহবূলা
মসজিদ ও ইবাদাতখানাগুলো স্বাস্থ্য সরঞ্জামের প্রস্তুতির পর।
শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
শিপিং সার্ভিস, মেরামত সাভিস,গ্যাস ও লন্ড্রি হোম ডেলিভারি সার্ভিস।
রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে (ডেলিভারি ও গাড়িতে বসে অর্ডার করা যাবে)
টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট সরবরাহের প্রতিষ্ঠান।
খাদ্য সামগ্রীর প্রতিষ্ঠান, যেমন- জামইয়া, সুপার মার্টেক, বাকালা
কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের যানবাহন।
পেট্রাল পাম্পের যাবতীয় সেবা।
হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিক।
গাড়ির শো-রুম, অটোপার্টসের দোকান, গ্যারেজ, কারওয়াশ।
দ্বিতীয় ধাপ:
আংশিক কারফিউ
বিকাল ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত (সমগ্র কুয়েত)
আঞ্চলিক লকডাউন
পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
পূর্বোল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলোসহ নিম্নে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মেনে খুলে দেওয়া হবে
সরকারী এবং বেসরকারী কর্মক্ষেত্র (৩০% এর কম উপস্থিত থাকবে)
নির্মাণাধীন সেক্টর।
আর্থিক এবং ব্যাংকিং
বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স (সকাল ১০:০০ টা থেকে ৬:০০ টা পর্যন্ত চলবে)
খুচরা দোকান।
রেস্তোঁরা / ক্যাফে (অর্ডার গ্রহণ করা যাবে (ডাই-ইন) বসে খাওা যাবেনা
পাবলিক পার্ক এবং বাগান। (সামাজিক দূরত্বসহ)
তৃতীয় ধাপ
আংশিক কারফিউ (বাতিল)
আঞ্চলিক লকডাউন (প্রয়োজন বোধে)
পূর্বোল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে বিধি মেনে নিম্নে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলো তৃতীয় ধাপে খুলে দেওয়া হবে
সরকারী সংস্থা এবং বেসরকারী খাতে কর্মক্ষেত্র (৫০% এর কম উপস্থিত থাকবে)
মসজিদ (শর্তসাপেক্ষে জুমুয়ার নামাযের জন্য খোলা হবে)
সামাজিকতা রক্ষার্থে সাক্ষাত করা
হোটেল, বিনোদনকেন্দ্র এবং অ্যাপার্টমেন্ট বিশ্রামাগার।
ট্যাক্সি ( কেবল ১ জন যাত্রী বহন করে)
চতুর্থ ধাপ
পূর্বোল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে বিধি মেনে নিম্নে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলো চতুর্থ ধাপে খুলে দেওয়া হবে
সরকারী সংস্থা এবং বেসরকারী খাতে কর্মক্ষেত্র (৫০% এর বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে)
রেস্তোঁরা এবং ক্যাফে (সামাজিক দূরত্বসহ)
গণপরিবহণ (সামাজিক দূরত্বসহ)
পঞ্চম ধাপ
পূর্বোল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে বিধি মেনে নিম্নে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলো পঞ্চম ধাপে খুলে দেওয়া হবে-
সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার কর্মক্ষেত্র (৫০% এর বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে)
পারিবারিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ
বিবাহ, স্নাতকসহ বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানাদি
স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও স্পোর্টস ক্লাবসমূহ
বিভিন্ন সম্মেলন, সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী এবং প্রশিক্ষণ কোর্স
ব্যক্তিগত পরিষেবাসমূহ (সেলুন এবং বিউটি পার্লার বিনোদনকেন্দ্র)
সরকারী এবং বেসরকারী ক্রীড়াঙ্গন
সিনেমা হল এবং নাট্যশালা।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের শর্তসমূহ
দূরত্বের শর্তসমূহ
কর্মক্ষেত্রগুলি অবশ্যই পুনরায় সাজানো উচিত যাতে কর্মচারীদের মধ্যে দূরত্ব ব্যক্তি প্রতি ১০ বর্গ মিটার বা ২ মিটারের চেয়ে কম না হয়।
অফিসের চেয়ার এবং অন্যান্য আসবাব পত্রের মাঝে কমপক্ষে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা
নিশ্চিত করুন অফিসে চলাচলের পথও যেনো কমপক্ষে ২ মিটার প্রশস্ত হয়
বিশ্রামাগার এবং উপাসনালয়গুলিতে গণজমায়েত পরিহার করুন
কর্মক্ষেত্রে বা অন্য কোথাও জামাতবদ্ধভাবে খাওয়া-দাওয়া রোধ করুন, এবং বাসার ভিতরে এককভাবে একটি প্লেট একজনে ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
রঙিন ফ্লোর স্টিকারগুলির মতো প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে উপরের নির্দেশনাবলীগুলো দৃষ্টিতে পড়ে এমনভাবে সেট করুন।
ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য দূরত্ববজায় রাখাসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
শ্রমিকদের পাশাপাশি সাক্ষাতকারীদের সাথেও দূরত্ব বজায় রেখে যোগাযোগ করুন।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা পদ্ধতি
কার্যক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান করা সর্বদা বাধ্যতামূলক এবং যারা এ বিধি মেনে চলবেন না তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
কর্মক্ষেত্রের সমস্ত সরঞ্জমাদি, অফিস, টেবিল, ব্ল্যাকবোর্ড ইত্যাদি ভাগাভাগি করে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ব্যবহৃত ফ্লোর এবং টয়লেটগুলি নির্বীজন করার যত্নবান থাকতে হবে। মাস্ক ব্যবহার এবং প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পড়া এবং ডিটারজেন্ট, সাবান এবং জীবাণুমুক্তকরণ স্প্রে সরবরাহ করা, এবং ঘনঘন কর্মক্ষেত্রে হাত ধোওয়া।
কাগজ বা নথীপত্র এবং নগদ অর্থ হাতে হাতে লেনদেন পরিহার করে অনলাইন পদ্ধতিতে সরবরাহ করতে অভ্যস্থ হোন।
এই মহামারী চলাকালীন সময়ে দূরত্ব বজায় রেখেই সমস্ত কার্যকলাপ আঞ্জাম দেওয়া জরুরি। তবেই সামগ্রিকভাবে ঝুঁকি হ্রাস পবে। যদি আপনার পক্ষে সম্পূর্ণভাবে দূরত্ববজায় রেখে কাজ করা সম্ভব না হয়, তাহলে যতটুকু সম্ভব দূরত্ব বজায়ে কাজ সম্পাদন করে যান। যেসব কাজ ব্যক্তি উপস্থিতি ছাড়া সম্ভব নয়, সেগুলো এমন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ যা দূর থেকে কাজ করতে পারে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দিকনির্দেশনার উদাহরণ
সমবায় সমিতি বা জামইয়া এবং খাদ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য পরামর্শ
সরকারী ও বেসরকারী শ্রমসংস্থার জন্য প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য নির্দেশিকা
মসজিদ এবং উপাসনালয়ের জন্য স্বাস্থ্য নির্দেশিকা
বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সগুলি এবং রেস্তোঁরাসমূহ এবং ক্যাফে পুণরায় খোলার জন্য প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য নির্দেশিকা
