আশাশুনিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যের স্ট্যাটাস দেওয়ায় নিহতের ভাতিজা কর্তৃক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি





আহসান উল্লাহ  বাবলু উপজেলা প্রতিনিধি: আশাশুনিতে করোনা ভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির করোণা আক্রান্তর মৃত সংবাদ নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে পোস্ট দেয়ার কারনে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছে করোনায় আক্রান্ত নিহতের আত্মীয় স্বজনরা। করোনা আক্রান্ত হয়ে বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের বসুদেব মজুমদারের পুত্র দিবাকর মজুমদারের মৃত্যু হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে। বুধবার সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দীনের ফেসবুক ওয়াল থেকে তার মৃত্যুর খবর পোস্ট দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের বাড়ি লকডাউন করতে আসা প্রশাসন। এসময় ওই লক-ডাউনের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হত্যার হুমকি দেয় নিহতের ভাই শংকর মজুমদারের পুত্র মিলন মজুমদার।

এ সময় মিলন মজুমদার চিল্লিয়ে বলতে থাকে তোর ফেসবুকে স্ট্যাটাস এর কারনে আজ আমাদের বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজার নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মোল্যার সহযোগিতায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের ও গ্রাম পুলিশ তুহিন সরদার উপস্থিত হয়ে লকডাউনের সাইনবোর্ড মারার সময় ছবি তুলতে যেয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ জীবননাশের হুমকি প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, দিবাকর মজুমদারের গত ১৪/০৭/২০ ইং তারিখের আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে ট্রিটমেন্ট অবস্থায় সোমবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে ২৮/০৭/২০ তারিখে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয়বারের সংগ্রহকারী নমুনার রিপোর্টে তাকে করোনা পজেটিভ দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি করোনা পজিটিভ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক বি এম আলাউদ্দীন প্রতিবেদককে বলেন, যে কারণে মৃত্যুবরণ করুক না কেন প্রত্যেক মৃত্যুই দুঃখজনক। যেহেতু তিনি করোনা পজিটিভ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সেহেতু তার বাড়িটা লকডাউন এর আওতায় থাকা উচিত। এ কথা ভেবেই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আমি ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলাম। আমার স্ট্যাটাসের পজিটিভ দিক টি না দেখে তারা নেগেটিভটা ধরে নিয়েছে। আমি যেটা করেছি সেটা ওই এলাকার জন্য ভালই করেছি। তিনি আরো বলেন, তারা আমাকে ফোনে পর্যন্ত হুমকি দিয়েছে। গত ৩০/০৭/২০২০ ইং বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ৩৭ মিনিটে নিহতের ভাই মৃত দিবাকর মজুমদারের মেজ ভাইয়ের ছেলে পলাশ ০১৯১২২০৯৯০০ থেকে আমাকে ফোন দিয়ে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও মামলার ভয় দেখায়। আমি প্রশাসনের কাছে বিষয়টির সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির জানান, সাংবাদিক বি এম আলাউদ্দীন বিষয়টি আমাকে ফোনে জানিয়েছেন। অতিদ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ