মোঃনাইম শেখ, সিঙ্গাপুর প্রতিনিধিঃ
প্রতিবছর ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপিত হয় পবিত্র ঈদুল আজহা৷ কিন্তু করোনাভাইরাসের কারনে গত ঈদ-উল-ফিতরের ন্যায় এবার ঈদল আজহাও উদযাপিত হচ্ছে সাদামাটাভাবে৷
সিঙ্গাপুরের মসজিদগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় এড়ানোর জন্য অনলাইনে নামাজের স্থান বুকিং এর মাধ্যমে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে৷ যারা ডরমিটরিতে অবস্থান করছে তারা ঘরোয়াভাবেই ঈদের নামাজ আদায় করেছে৷
যারা মসজিদে যেতে পারেনি তাদের জন্য ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিল অব সিঙ্গাপুর অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে লাইভ খুতবা সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছে৷
সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো: হানিফুর রহমান বলেন, “পরিবার-পরিজন ছেড়ে ঈদ যদিও কষ্টের তারপরও প্রত্যেক বছরই প্রবাসীদের হাসিমুখে ঈদ উদযাপন করতে হয়!তবে করোনাভাইরাসের কারনে ঈদের প্রকৃত আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি৷ তবুও এখনো সুস্থ আছি তাই আল্লাহর দরবারের শুকরিয়া আদায় করি৷”
সারা বছরের জমিয়ে রাখা কান্নার বাধভাঙা স্রোত যেন ঈদের দিন আর কোনো বাধা মানতে চায় না। আত্মীয়-স্বজনরা অনেকেই জানতে চায়, তোদের ঈদ কেমন কাটে?কিন্তু তার জবাব প্রবাসীদের জানা নেই।
এবার ভাইরাসের কারনে বন্ধুদের সাথে সাক্ষাত করার সুযোগ নেই৷ নিজের ও বন্ধুদের সুস্থতার জন্য প্রবাসীরা তা হাসিমুখে মেনে নিয়েছে৷
আসলে আমাদের মতো প্রবাসীদের ঈদের আনন্দ বলতে দেশের আপনজনদের মুখের হাসি৷ তবে অনেকের পক্ষে পরিবারের সবার মুখে হাসি ফুটানো সম্ভব হয় না।আর এই কারনেই অনেক প্রবাসী মানসিক হীনমন্যতায় ভোগে৷
সিঙ্গাপুর প্রবাসী জাকারিয়া বলেন,বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে সিঙ্গাপুরে আরেকটা ঈদ করলাম। এই চাপা কষ্ট প্রিয়জনদের ছাড়া একাকী ঈদ করার। ইচ্ছে থাকা সত্তেও এবার দেশে যেতে না পারার৷
আরেক প্রবাসী মানিক হুমায়ুন বলেন '" দেশের বাইরে ঈদ উদযাপন কতটা মলিন আর ফ্যাকাসে, আমার মনে হয় প্রবাসী সবাই তা বুঝতে পারেন।অন্যরা তা অনুভব করতে পারবে না।"