মোঃ আওলাদ হোসেন
জেলা প্রতিনিধি ভোলা (দৌলতখান)
ঈদ মানে ঈদ মানে খুশি।পৃথিবীর একমাত্র পবিত্র ধর্ম ইসলাম। ইসলাম ধর্মে বছরে দুটি আনন্দের দিন নির্ধারিত। দিন দুটি হলো ঈদুল ফিতর যা দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর উৎযাপন হয়।আর অন্য টি ঈদুল আযহা, যা জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে উৎযাপন হয়ে থাকে।এই বছর ২০২০ সালে পুরো বিশ্বে করোনা কালীন মহামারীর ফলে ঈদুল ফিতর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ছোটপরিসরে উৎযাপিত হয়েছে। আগামী কাল অনুষ্ঠিতব্য ঈদুল আযহা সেই ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।আদি পিতা আদম (আঃ)-এর দুই পুত্র কাবীলও হাবীলের দেওয়া কুরবানী থেকেইকুরবানীর ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়েছে।তারপর থেকে বিগত সকল উম্মতের উপর
এটা জারী ছিল। আমাদের উপর যে
কুরবানীর নিয়ম নির্ধারিত হয়েছে, তা
মূলতঃ ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক শিশু পুত্র
ইসমাঈল (আঃ)-কে আল্লাহর রাহে কুরবানী দেওয়ার অনুসরণে ‘সুন্নাতে ইবরাহীমী’হিসাবে চালু হয়েছে।১ মক্কা নগরীর জনমানবহীন ‘মিনা’ প্রান্তরে আল্লাহর দুই আত্মনিবেদিত বান্দা ইবরাহীম ও ইসমাঈল আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তুলনাহীন ত্যাগের যে দৃষ্টান্ত
স্থাপন করেছিলেন, বর্ষপরম্পরায় তারই
স্মৃতিচারণ হচ্ছে ‘ঈদুল আযহা’ বা কুরবানীর ঈদ। আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের প্রকৃষ্ট নমুনা এই কুরবানীতে প্রতীয়মান। পবিত্র কুরআনে কুরবানীর বদলে ‘কুরবান’
শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। হাদীছেও ‘কুরবানী’ শব্দটি ব্যবহৃত না হয়ে এর পরিবর্তে ‘উযহিয়াহ’ ও ‘যাহিয়া’ প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এজন্যই কুরবানীর ঈদকে ‘ঈদুল আযহা’ বলা হয়। ২ আরবী ‘কুরবান’ শব্দটি
ফারসী বা উর্দূতে ‘কুরবানী’ রূপে পরিচিত হয়েছে, যার অর্থ ‘নৈকট্য’।আর
পারিভাষিক অর্থে ‘কুরবানী’ ঐমাধ্যমকে
বলা হয়, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য
হাছিল হয়।৩ প্রচলিত অর্থে ঈদুল আযহারদিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে কুরবানী’ বলা হয়’। সকালে রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বলে
এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। ৪ কুরবানী মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় ইবাদত। যিলহজ্জ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে এই ইবাদত পালন করতে
হয়।
লেখক, মোঃ আওলাদ হোসেন
লেখক ও কলামিস্ট
বিএসএস(অনার্স),এমএমএস (রাষ্ট্র বিজ্ঞান)ঢাকা সরকারী কলেজ(অধিভুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
এমএ,কামিল (ফিকাহ)
ইসলামী অ্যারাবিক বিশ্ববিদ্যালয়।
সহকারী শিক্ষক, ছাকিনা আদর্শ একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
দৌলতখান, ভোলা