রাজশাহী ব্যুরোঃনওগাঁর মহাদেবপুর মহিষবাথানে আত্রাই নদির উপর ব্রীজ নির্মাণের যনগনের দাবি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের মহিষবাথান আত্রাই নদির ঘাটে একটি ব্রীজের অভাবে কয়েক হাজার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি হচ্ছেন। একটি ব্রীজের অভাবে ঐতিহ্যবাহী মহিষবাথান হাট এখন প্রায় মরা বাজারে পরিণত হয়েছে। থুবড়ে পড়েছে অনেক গুলো প্রতিষ্ঠান। এলাকার জনগণ একটি ব্রীজের অভাবে অনেক ঝুকি নিয়ে নৌকায় পার হচ্ছেন। ভোটের সময় প্রার্থীরা এখানে ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্ত ভোটে জিতার পর আর জনগনের কথা মনে রাখেন না।
মহিষবাথান নৌকার ঘাটের পশ্চিমপার্শে হাতুড় ইউনিয়ন পরিষদ, মহিষবাথান হাট, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সোনালী ব্যাংক, বিভিন্ন সামাজিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারী খাদ্যগুদামও রয়েছে।
প্রতিদিন হাজার হাজার জনগণ আসেন কাজে। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পারাপারে। বর্ষায় নদী পারে এক মাত্র ভরসা নৌকা। কেউ নৌকার পার মিস করলে প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। শুকনো মওসুমে ঘাটে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে রাখেন পারাপারের জন্য। এখানে বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন নিয়ে পারাপার হতে হয় অনেক ঝুকি নিয়ে।প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার মানুষ চলাচল করেন।
মহিষবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ইদ্রীস আলী বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ের প্রায় ৫ শতাধিক শিার্থীর মধ্যে ৩ শতাধিক নদির ওপারের বাসিন্দা। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ডুবার আশঙ্কা থাকে। এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে শিক্ষা ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে বলে ধারণা করেন । গৃহবধূ শাহনাজ বেগম (৫০) বলেন, ‘নারী ও শিশুদের নদি পার হতে বেশি সমস্যা হয়। একটি ব্রীজ হলে আমাদের সবার ভালো হবে।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি আমলে এলাকার সাবেক এমপি জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার মরহুম আখতার হামিদ সিদ্দিকী এখানে একটি ফুট ব্রীজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। মান্ধাতা আমলে নদীকেন্দ্রীক সভ্যতার সময় গড়ে ওঠে এই মহিষবাথান গঞ্জ। কিন্তু কালের গর্ভে যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে তাল মেলাতে না পেরে সে গঞ্জ আজ ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। ইতিমধ্যে এখানকার ঐতিহ্যবাহী হাট ভেঙ্গে দুটুকরো হয়ে এক অংশ চলে গেছে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ছাতুনতলীতে। এখানে অবস্থিত দীর্ঘদিনের পুরনো ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ও স্থানান্তর করা হয়েছে গাহলী মোড়ে। এখনও যেসব প্রতিষ্ঠান এখানে সচল রয়েছে এখানে একটি ব্রীজ নির্মিত হলে সেগুলো আবার চাঙ্গা করা সম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা।
জানতে চাইলে মহাদেবপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, ‘এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সয়েল টেষ্ট করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক স্থান পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্প পরিকল্পনা প্রেরণ করা হচ্ছে। করোনার কারণে হয়তো সময় লাগছে। আশা করছি দ্রুত অনুমোদনের কাগজপত্র পাওয়া যাবে।