মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলাঃ১৪ ই নভেম্বর সকাল ১১ টায় মোংলা উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ এর আয়োজনে মোংলা আওয়ামীলীগ এর দলীয় কার্যালয়ে মোংলা উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে এক বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা পৌর আওয়ামী লীগ এর সভাপতি শেখ আঃরহমান, বাগেরহাটের জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদার, মোংলা উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সাধারন সম্পাদক মোঃ ইব্রাহীম হোসেন, মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদার, চাদপাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম, চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন,সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হাওলাদার, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায়,মোংলা পৌর যুবলীগের সভাপতি মোঃকবির হোসেন মোংলা পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আল মামুন, মোংলা পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃএরশাদ হোসেন রনি,উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক তরিকুল হাওলাদার, পৌর ছাত্রলীগএর সভাপতি মিজান তালুকদার,পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুখ বাপ্পি সহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগ এর নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক তার বক্তব্যে বলেন আগামী পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর ও মেয়র পদে দলীয় ভাবে মনোনয়ন দেয়া হবে। দলীয় ভাবে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সেই প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করতে হবে। কেউ যদি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কাজ করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে হুশিয়ারি দেন তিনি।তিনি বলেন গত পৌর নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রার্থীদের হেরে যাওয়ার একমাত্র কারন ছিলো সমন্বয় হীনতা। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করি তাহলে পৌর নির্বাচনে অবশ্যই আমাদের সকল প্রার্থী বিজয় লাভ করবে।
তিনি আরো বলেন মোংলা পৌর সভায় যত উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামীলীগ আমলেই হয়েছে।বি এন পি জোট সরকার এর আমলে মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র ছিলো মোল্লা আব্দুল জলিল কিন্তু তখন মোংলা পোর্ট পৌরসভার কোন উন্নয়ন সে করতে পারে নাই।কিন্তু আওয়ামিলীগ আমলে বি এন পির মেয়র জুলফিকার আলী থাকলেও মোংলা পোর্ট পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন মোংলায় উন্নয়ন আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য কোন সরকার করেনি।বি এন পি জোট সরকার মোংলা বন্দরকে মৃত বন্দর বানিয়ে ফেলেছিলো। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ পুনরায় ক্ষমতায় এসে মৃত বন্দরকে আবার সচল করেছে।
এছাড়া তিনি আরো বলেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ যে সকল সংগঠনের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে খুব শীঘ্রই সকল কমিটি গুলো করা হবে। ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন ছাত্রলীগের কমিটি করা হবে যারা রেগুলার ছাত্র তাদের দিয়ে। যাদের ছাত্রত্ব শেষ কোন অবস্থাতেই তাদের কমিটিতে রাখা হবে না।বিশেষ বর্ধিত সভা শেষে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এর সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আকরাম হোসেন।