তুহিন রানা (আব্রাহাম) ; খুলনা নগর প্রতিনিধিঃ
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন "বেগম রাজিয়া নাসের ছিলেন রত্নগর্ভা একজন মহিয়সী নারী, তিনি ৭৫ পরবর্তীতে জিয়া মোস্তাক গংদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করে সর্বশেষ বংশধরদের খুলনা থেকে বিতাড়িত করার জন্য যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো তা তিনি অত্যান্ত ধৈর্য্যশীলতার সাথে কৌশলে মোকাবেলা করেছিলেন। তার সন্তানদের স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিলো কিন্তু তিনি খুলনায় থাকতে না পেরে পাবনায় তার পিত্রালয়ে সন্তাদেরকে অত্যান্ত কষ্টের মধ্যে লেখাপড়া শেখান। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা সব হারিয়ে রাজিয়া নাসের কে মায়ের আসনে বসিয়ে ছিলেন, শেখ হাসিনার শেষ অভিভাবক ছিলেন রাজিয়া নাসের। রাজিয়া নাসের কে হারিয়ে তার সন্তানেরা যেমন অভিভাবকহীন হয়েছেন তেমনি খুলনা সহ সারাদেশের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা একজন অভিভাবক কে হারিয়েছে।
তিনি দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন যে, তার মত হতে না পারলেও তার নীতি আদর্শ ও ত্যাগ কে আমাদের ধারণ করে চলতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করতে তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আমাদের শাক্তিশালী করতে হবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিনী, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দীন জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর ও বিসিবি'র পরিচালক শেখ সোহেল উদ্দীন, অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি শেখ জালাল উদ্দীন রুবেল, শেখ বেলাল উদ্দীন বাবু'র মাতা ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় এর দাদী সদ্য প্রয়াত বেগম রাজিয়া নাসের স্মরণে গতকাল মঙ্গলবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে মহানগর যুবলীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা তিনি বলেন।
খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.ডি.এ বাবুল রানা।
খুলনা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন এর পরিচালনায় স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা নূর ইসলাম বন্দ, মুন্সি মাহাবুব আলম সোহাগ, আলী আকবর টিপু, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কাজী ফয়েজ মাহমুদ, মন্টু বিশ্বাস (মন্টু মামা), মহানগর যুবলীগ নেতা এস.এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, সিরাজুল ইসলাম, কাজী জাকির হোসেন, আনিসুর রহমান, রোজী ইসলাম নদী, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল কাদের শেখ, এ্যাড আল আমিন উকিল, মোঃ আবুল হোসেন, কাজী কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম দুলু, মোঃ শওকাত হোসেন, আসাদুজ্জামান রাসেল, শেখ মোহাম্মদ আলী, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, তাজুল ইসলাম, কবির পাঠান, জুয়েল হাসান দিপু, মোস্তফা শিকদার, কাজী ইব্রাহীম মার্শাল, মহিদুল ইসলাম মিলন, মশিউর রহমান সুমন, মেহেদী মোড়ল, কেএম শাহীন হাসান, ইয়াসিন আরাফাত, মোঃ রাশেদুল ইসলাম, রাশেদুজ্জামান রিপন, আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলন, অলিউর রহমান রাজু, আব্দুল মালেক, আরিফুর রহমান আরিফ, রবিউল ইসলাম লিটন, শাহীন আলম, মুক্তা সরদার, হাসান শেখ, ইকবাল কবির লিটন, সোহাগ দেওয়ান, কাঞ্চন শিকদার, ইমরুল হাসান রিপন, মাসুম উর রশিদ, বাদল সিপাহী, ইব্রাহীম আহমেদ তপু, কামরুল মোল্লা, মাসুম আহমেদ ডলার, জামিল হোসেন সোহাগ, মোশাররফ হোসেন, আনিসুর রহমান, হারুন উর রশিদ, জিহাদুর রহমান জিহাদ, মহিদুল ইসলাম শান্ত, সাকিব হাওলাদার, ইউসুফ মোল্লা, ফরিদুল ইসলাম, ফাত্তাউল ইসলাম, অহেদুজ্জামান বাবু, রাকিবুল ইসলাম, আনিস মিয়া, জনি মিয়া, ইকবাল হোসেন, কামরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম মুন প্রমুখ।
স্মরণ সভা শেষে বেগম রাজিয়া নাসের এর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা শাহেদ হুসাইন। দোয়া শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।