রাজশাহী ব্যুরোঃ গত ২৩ নভেম্বর দৈনিক আত্রাই অনলাইন নিউজ পোর্টালে বন কর্মকর্তার দম্ভ, নিউজ করেন কিছুই করতে পারবেন না শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সেই অসাধু দাম্ভিক আত্রাই বন কর্মকর্তা(ফরেস্টার) এবং তাকে সাহায্যকারী নওগাঁ জেলা বন কর্মকর্তা(রেঞ্জার) দ্বয়কে বদলি করা হয়েছে। নওগাঁ জেলা বন কর্মকর্তা(রেঞ্জার)কে সাপাহার উপজেলায় এবং একই উপজেলার শিরোন্টি নামক বিটে আত্রাই বন কর্মকর্তা(ফরেস্টার)কে বদলি করা হয়েছে বলে নওগাঁ জেলা সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরনিতে জানা যায়,নিউজ করলেন তদন্ত হলো প্রমানও পেলো বদলির আদেশ হলো সেটা আবার বন্ধ করে এখনও আপনাদের এখানে চাকুরী করছি। যত ইচ্ছা নিউজ করেন কিছুই করতে পারবেন না। আমি নেহায়েত চাকুরী করছি তা-না হলে, কী হতো ? ছড়ি ভাই আমি সে ভাবে বলতে চাইনি। ২২নভেম্বর রোববার আত্রাই বন বিভাগের নার্সারীতে বৃষ্টিতে ভিজে উই পোকায় খেয়ে নষ্ট হতে যাওয়া সরকারী গাছের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে এমন দাম্ভিকতার সুরে কথা বলছিলেন আত্রাই উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হক। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন এতো সাধু লোক কোথায় পাবেন ? আমি সততার সাথে চাকুরী করছি। আমার সবকিছু জেলা বন কর্মকর্তা (রেঞ্জার) জানেন।
গত ৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে আত্রাইয়ে বন কর্মকর্তার যোগসাজসে টেন্ডার ছাড়া রাস্তার গাছ কর্তন শিরোনামে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার(ডিএফও)দৃষ্টিগোচর হলে তৎক্ষনাত নওগাঁ জেলা সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) কে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) গত ৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা পান বলে সাংবাদিকদের অবগত করেন। তিনি রিপোর্টের বিষয়ে বলেন ২/৩ দিনের মধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রাজশাহী বরাবর পাঠিয়ে দিব। সে মোতাবেক রিপোর্ট পেয়ে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আত্রাই উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হককে রাজশাহীর বাগমাড়া উপজেলায় বদলির আদেশ দেন। আদেশ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে অদৃশ্য কারনে সেই আদেশ স্থগিত করেন। তার পর থেকে ধরাকে সরা জ্ঞান করে পুনরায় নাম্বার বিহিন রাস্তার গাছ বিক্রি, মুজিব বর্ষের চারা তৈরীর টাকা নয়ছয়, মুজিব বর্ষের চারা নার্সারীতে রেখে রেজিস্টারে বিতরণ দেখানো ইত্যাদি বিষয়ে একের পর এক অনিয়ম করে চলেছেন মোজাম্মেল হক ।