দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ফাতিমা পারভীন



তুমি ছিলে আমার কাছে সম্পূর্ণ অজানা। 

কেননা রাজনৈতিক অঙ্গনে আমার ছিল না পদচারণা! 

তোমাকে দেখেছিলাম সেদিনই প্রথম, 

নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে যেদিন, জানিয়েছিলাম স্বাগতম!

সাদামাটা সাজ,হাস্যোজ্জ্বল মুখ,কী মধুর আলাপন!

কত সাধারণ তুমি! 

দেখে মনে হয় সবাই তোমার কত চেনা, কত আপন!

স্বামী, সন্তান, সংসার সামলে ৪০টা বছর ধরে

 করছ রাজনীতি। 

টলাতে পারেনি একবিন্দু কেউ, জাগাতে পারেনি ভীতি। 


কালের সাক্ষী তুমি, অসাধারণ এক মহিয়সী নারী! 

সত্যিই তুমি যুগযুগান্তরের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী! 

তুমি নিভৃতচারী,নিরহংকারী 

জাতির কর্ণধার। 

অন্ধকারে আলোর দিশারী তুমি 

নতুন প্রজন্মের হাতিয়ার! 


সমাজের অহংকার, দেশের গর্ব তুমি, 

রত্নগর্ভা মায়ের সন্তান। 

হৃদয় উজাড় করা 

মানব বটবৃক্ষ তুমি, 

করে যাও সুশীতল ছায়া দান!


নির্ভিক তুমি,অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে চলা সংগ্রামী নেতা।

কালের কুসুম তুমি, 

নিজেও রত্নগর্ভা মাতা!

তুমি সংস্কৃতি মনা,

লুকিয়ে আছে তোমার মাঝে শিল্পের চেতনা। 


উদার চিত্তের মানুষ তুমি 

ব্যক্তিত্ব সুমহান!

দায়িত্ব বোধে অটুট তুমি 

অতিশয় কর্তব্যপরায়ণ! 

তুমি ছিলে পৌর কমিশনার 

যশোরের সর্বপ্রথম  নারী। 

১৬৩ বছরের ইতিহাসে জনগনের ভোটে সরাসরি জয়লাভকারী! 


আন্দোলন করেছো স্বৈরাচার বিরোধী, 

সয়েছো  শত পুলিশি নির্যাতন! 

দেশের স্বার্থে সর্বদা নিজেকে করেছো সমার্পন।

রাজপথে রেখেছো সক্রিয় ভূমিকা, 

হাসি মুখে করেছো কারাবরণ!

হাসপাতালের বেডে শয্যাগত হয়েও দেশকে করেছো স্মরণ। 

প্রার্থনা করি বেঁচে থাকো তুমি, সহস্র বছর ধরে! 

চিরদিন যেন রয়ে যাও তুমি, 

শত কোটি মানুষের অন্তরে!


সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ