নিউজ ডেস্ক: আশপাশের জমিতে অনেকেই করেছেন রবিশষ্য। কেউ করেছেন মুলা, সরিষা, বেগুন ও শিমসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। আর বঙ্গবন্ধুর প্রতি মানসিক ভাবনা ও ভালোবাসার নিদর্শনের রূপ জমিনেই ফুটিয়ে তুলেছেন সৃষ্টিশীল মনের অধিকারী কৃষক আব্দুল কাদির (৪৪)। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, নৌকা, স্মতিসৌধ, শতবর্ষ লিখনি ছাড়াও জমিনের চারপাশে 'লাভ' চিহ্ন নকশা করেছেন সরিষা ও লাল শাক দিয়ে। মোট ৩২ শতক জমিতে শৈল্পিক বুননে ফসলের মাঠকে করে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন। প্রতিদিন শতশত মানুষ কৃষক কাদিরের ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন।
তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াখালবালা গ্রামে। তিনি হাজি তারা মিয়ার দ্বিতীয় পুত্র। সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শতশত উৎসুখ লোক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা ছাড়াও এসেছেন অনেক নারী। ক্ষেতে চোখ পড়লে দেখা যায় ছবির মতো আঁকা নৌকার পাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ছাড়াও স্মৃতিসৌধ ও শতবর্ষ লিখনি। যেন কোনো শিল্পি এঁকে রেখেছেন।
সরিষা ও লাল শাক বুনন এমন ভাবেই করা হয়েছে যা ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও নৌকাসহ স্মৃতিসৌধ। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে উঁচু টাওয়ার। যেখানে উঠে ছবি তুলছেন অনেকেই। কথা হয় কৃষক আব্দুল কাদিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর গ্রামে একটি বন্ধুমহল ডিজিটাল ক্লাব রয়েছে। তিনি সেই ক্লাবের উপদেষ্টা সদস্য। ক্লাবের সদস্যরা তাঁর কাছে ডিজিটাল পদ্ধতির কিছু একটা করে দেখানোর আবদার করে। ক্লাবের সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে তাঁর মাথায় আসে স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া রবি শষ্য সরিষা ও লাল শাক প্রদর্শনী প্লটে চিত্রকলার আলোকে বীজ বপন করে কিছু নতুনত্ব সৃষ্টি করা যায় কি-না। এর মধ্যে ঘটে যায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বির্তক। ঘটে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুর। সর্বক্ষেত্রেই প্রতিবাদ হচ্ছে। এই প্রতিবাদ জানাতেই তিনি জমিন চাষ করে প্রথমে চিত্রাংকন করে বঙ্গবন্ধুর মুখায়ব আঁকেন ক্লাবের সদস্যদের সহায়তায়। আরো আঁকেন নৌকা, স্মৃতিসৌধ ছাড়াও 'লাভ' এর অক্ষর। চিত্ররেখার মাঝেই বারী-১৫ জাতের সরিষা ও লাল শাকের বীজ বপন করেন। জমিনে সেই বীজ গজানোর পর পুরো ক্ষেত যেন জীবন্ত ছবির মতো রূপ ধারণ করে।
তথ্যের উৎস :কালের কণ্ঠ