নিউজ ডেস্কঃ নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এমপিও নীতিমালা সংশোধনের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী জানুয়ারির প্রথম দিকে এমপিওভুক্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে।
এই নীতিমালায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন এলাকায় নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ৭০ শতাংশ, পৌর এলাকায় ৬০ ও মফস্বল এলাকার প্রতিষ্ঠানে ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করতে হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ৬৫ শতাংশ, পৌর এলাকায় ৬০ ও মফস্বল এলাকার প্রতিষ্ঠানে ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করতে হবে। আর স্নাতক স্তরে সিটি করপোরেশেন এলকায় ৫৫ শতাংশ, পৌর এলাকায় ৫০ শতাংশ ও মফস্বল এলাকায় ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ভাড়া বাসা-বাড়িতে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে না। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন করে বেশ কয়েকটি শিক্ষক-কর্মচারীর পদ সৃজন করা হয়েছে। আগের নীতিমালা অনুসরণ করে ২০১৯ সালে ২ হাজার ৭৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলেও এবার তা পরিবর্তন আনা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এমপিও নীতিমালায় আগের চেয়ে কাম্য যোগ্যতা কম-বেশি করা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে অর্জিত নম্বর হ্রাস ও বৃদ্ধি করে তা খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই এটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে আদেশ জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা প্রকাশের পর পরই নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হবে। চলতি মাসের (ডিসেম্বর) শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে।