ওসি প্রদীপ নিউজ ডেস্ক: টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের ইয়াবা বাণিজ্যের কথা জেনে যাওয়ায় মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজান ওসি প্রদীপ।'
রবিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব কথা জানিয়েছেন।
এর আগে সকালে কক্সবাজার আদালতে ২৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়, কক্সবাজারের টেকনাফ ওসি প্রদীপের অভয়ারণ্য ছিল। কথিত রাজ্য ছিল। মূলত এই স্বেচ্ছাচারিতা, আইন অমান্য করে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, এবং তার ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সিনহা ও তার সঙ্গীরা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওসি প্রদীপ সরকারি অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছেন এবং ইয়াবা কেন্দ্রিক বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিলেন।জুলাই মাসের ৭ তারিখে সিনহা মো. রাশেদ খান, শিপ্রা দেবনাথ, সিফাত ও রুফতি নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান করে। সেসময় ইউটিউবে একটি ভিডিও চ্যানেল নিয়ে কাজ করার সময় আঞ্চলিক বাসিন্দাদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। সেখানে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে তাদের জিম্মি হওয়া, অত্যাচারের ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানতে পারেন যা মেজর সিনহাকে পীড়িত করে।
এসব বিষয়ে ওসি প্রদীপের কাছে জানার জন্য ক্যামেরা ও ডিভাইসসহ তারা তিনজন (সিনহা, শিপ্রা ও সিফাত) যখন থানায় যায়। শিপ্রা ও সিফাতের বক্তব্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ল্যাপটপে স্পর্শকাতর কিছু ছিল। তবে সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।র্যাবের অভিযোগপত্রে বলা হয়, থানায় তাদেরকে অনতিবিলম্বে টেকনাফ বা কক্সবাজার ছেড়ে যেতে বলা হয়। তা না হলে "তোমাদের আমি ধ্বংস করে দেবো" বলে হুমকি দেয়া হয়। তবে ওসি প্রদীপের হুমকি উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কারণেই ষড়যন্ত্র করে মেজর সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে বলে বলছে র্যাব।
তথ্যের উৎস: কালের কণ্ঠ