দৌলতপুরে ঘাস মরা বিশ প্রয়োগে কৃষকের পান বরজ নষ্ট। অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তার গাফিলতি

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি //কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর পিপলস ডিগ্রী কলেজের পূর্ব পাশ্বে প্রায় ১০ দিন আগে ঘাস মরা বিশ প্রয়োগ করে রুবেল হোসেন পিতাঃ- তহির মালিথা সাং খাস মথুরাপুরের পান বরজ  নষ্ট করে দেয় সন্দেহভাজন ১ বা একাধিক  ব্যাক্তি। 
পরবর্তীতে ৩১/০১/২০২১ এ রুবেল হোসাইন থানায় এসে সন্দেহভাজন ১ জনকে আসামী করে ১ টি অভিযোগ করেন দৌলতপুর থানায় এবং অভিযোগের তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় খাস মথুরাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সন্জিত কুমার কে। 
পরবর্তীতে এস আই সন্জিত কুমার তদন্তের কাজে গেলে থানায় অভিযোগকারী রুবেল হোসাইনের অভিযোগের মধ্যে উল্লখিত ও তার সন্দেহভাজন এবং পাশের পান বরজ থেকেই বিষ, বিষ স্প্রে করা মেশিনের মাথা এবং বিষ ভর্তি বোতল সেখান থেকে উদ্ধার করেন অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা খাস মথুরাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সন্জিত কুমার। 
এর দুইদিন পরই  সন্দেহভাজন ব্যাক্তি মোঃ সাহাজুল ইসলাম (৪৫) পিতাঃ মৃত আরজেল এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে ব্যাপারটি সালিশি মিমাংসায় দফারফা করার জন্য ঘুরে বেড়ায় এবং এই দফারফার মধ্যস্ততা করতে চান মথুরাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ও অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সন্জিত কুমার। শুধু তাই নয় এস আই সন্জিত কুমার সন্দেহভাজন ব্যাক্তির পান বরজের মধ্যে থেকে ঘাস মরা বিষ ও স্প্রে করা মেশিনের মাথা পাই পায়ের ছাপ পাই এবং তথ্য প্রমান থাকা সত্যেও এখন পর্যন্ত নেই কোন পদক্ষেপ। মোঃ সাহাজুল ইসলাম স্থানীয় দালালের মাধ্যমে  এস আই সন্জিত কুমারের কাছে ও প্রস্তাব দেন সালিসি দফারফা করার এবং এস আই সন্জিত কুমার তাতেও রাজিও হয়ে যান। এ দিয়েই শেষ নয় তদন্ত কর্মকর্তা ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্যকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি সালিসি মীমাংসায় দফারফা করার ও এক প্রকার প্রস্তাব করেন। 
মথুরাপুরের মানুষের অর্থনীতির মুল চালিকা শক্তি পান ক্ষেত আর এই পান ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ তদন্তে যদি হয় গাফিলতা তাহলে কৃষকের এই অর্থনৈতিক ক্ষতির দায় কে নেবে  এমন মন্তব্য সুশীল সমাজের ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ