সম্রাট হোসেন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ বদলে যাচ্ছে নদীর গতি পথ ভাঙ্গছে গ্রামের পর গ্রাম উদাসীন ভূমি অফিস সহ কর্তৃপক্ষ ঝিনাইদহের শৈলকুপার কৃষ্ণনগর মৌজার ফসলী জমি থেকে বালু কেটে গভীর খাদে পরিনত করা হচ্ছে। মাসের পর মাস ধরে এভাবে বালু উত্তোলন করায় বদলে যাচ্ছে গড়াই নদীর গতিপথ। ভাঙ্গছে গ্রামের পর গ্রাম। নির্বিকার রয়েছে ভূমি অফিস সহ কর্তৃপক্ষ। কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার আওতাধীন গড়াই নদীর চাদট মৌজার বালুমহল ইজারর নামে এভাবে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে চলছে বালু হরিলুট। জনপ্রতিনিধিরাও আছে চুপচাপ!
এলাকাবাসী জানিয়েছে বর্ষা মৌসুমে শৈলকুপার কৃষ্ণনগর গ্রামে নতুন এলাকায় গড়াই নদীর ভাঙন দেখা দিতে পারে। এরই মাঝে গড়াই নদীর ভাঙনে বিলিন হয়েছে কৃষ্ণনগরের পার্শ্ববর্তী বরুরিয়া গ্রাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারী কুষ্টিয়ার জেলার বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় খোকসা উপজেলার চাদট মৌজার বালুমহল বাংলা ১লা মাঘ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ১৬ লক্ষ টাকায় তিন মাসের জন্য ইজারা পান শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে মিরাজ বিশ্বাস।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খোকসার চাদট মৌজার বালু উত্তোলনের কার্যাদেশ থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে ইজারাদার শৈলকুপার ৫৭ নং কৃষ্ণনগর মৌজার ফসলী জমি ২০/৩০ ফিট গভীর করে কেটে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে।
আসাদ শেখ আমাদের জানান এই গ্রামের চরের তার ফসলী জমি ফসল সহ মাটি ও বালি কেটে নেওয়া হয়েছে । আর এক কৃষক জানান ইজারার নামে গড়াই নদীর শৈলকুপা আংশের বেশ কিছু জায়গা ফসল সহ মাটি বালি কাটায়, নদীর গতি পথ বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। এই বর্ষায় ঘটতে ব্যাপক ভাঙ্গন
শৈলকুপার চর এলাকার ফসলী জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন নিয়ে চাদট বালুমহলের ইজারাদারের সহযোগী আনসার বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জমির মালিক তাদের কাছে মাটি বিক্রি করেছে তাই তিনি কেটে নিচ্ছেন।
শৈলকুপা অংশের চর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) পার্থ প্রতিম শীল জানান, এমন অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। অভিযোগটি লিখিত আকারে কুষ্টিয়া জেলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দু একদিনের মধ্যে কৃষ্ণনগর চর এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।