আহসান উল্লাহ বাবলু, আশাশুনি সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাট রিং বাঁধ এর পাঁচটি পয়েন্ট ভেঙ্গে দয়ার ঘাট ও জেলে খালি গ্রাম প্লাবিত। মঙ্গলবার দুপুরে প্রবল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দয়ারঘাট রিং বাঁধ ভেঙে জেলেখালি দয়ার ঘাটের সমগ্র এলাকা প্লাবিত হয়। দুই গ্রামের ৩৫০ ঘর প্লাবিত ও প্রায় ১৫ শত মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মৎস্য ঘের। পানিবন্দি অসহায় মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
উল্লেখ্য বিগত আম্পানে আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দয়ার ঘাট বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাতে থাকে। সেসময় আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম এর নেতৃত্বে সদর ইউপি চেয়ারম্যান স,ম সেলিম রেজা মিলন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দসহ স্থানীয় সকল রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পানিবন্দি বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে রক্ষার জন্য রিং বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু প্রবল জোয়ারের তোড়ে ঐ রিং বাঁধের পাঁচটি পয়েন্টে ভেঙে দুইটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং অসংখ্য মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম বলেন আমি প্রতিটি দুর্যোগকালীন সময়ে আপনাদের পাশে ছিলাম আছি এবং থাকব। তিনি বানভাসি মানুষের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় খাবার ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় কে অবহিত করেছি তিনি পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন আমি ওয়াপদা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি মূল বাঁধের কাজ দ্রুত শুরু হবে। মানুষ যাতে খাদ্যাভাবে না ভোগে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানা,থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির। সদর ইউপি চেয়ারম্যান স,ম সেলিম রেজা মিলনের নেতৃত্বে ভেঙে যাওয়া পাঁচটি পয়েন্টে রিং বাঁধের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বলেন এলাকায় মাইকিং করে পর্যাপ্ত লোক নিয়ে ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধের পাঁচটি পয়েন্টের কাজ শুরু করেছি। আমরা আশাবাদী পরবর্তী জোয়ারের আগে ভেঙ্গে যাওয়া রিং বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হবে।