কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি //কুষ্টিয়া দৌলতপুরে এনজিও গুলোতে বাইরে তালা,ভিতরে সব খোলা। চলছে কার্যক্রম সামাজিক দুুরুত্ব ও সাস্থ্যবিধি যেখানে হার মেনে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তোলা হচ্ছে কিস্তি, বিক্রি করা হচ্ছে পন্য। দৌলতপুরে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে যখন সবধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, এমনকি জনসাধারনের চলাচলও করা হচ্ছে নিয়ত্রন। রাস্তায় হত-গরীবদের পাখি ভ্যান, অটো গাড়ী ও সবধরনের যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা।বিপর্যস্ত জন-জীবন,ঠিক সেই সময় চলছে দৌলতপুরে পুরোদমে এনজিও গুলোর কার্যক্রম। নিতান্তই যা সমালোচনার জন্ম। অনেক হত-দরিদ্র আক্ষেপ করে বলছে, বিধি নিষেধ শুধু গরীবদের জন্য, রক্ত চোষাদের কোন বিধি নিষেধ নেই।
এদিকে দিশা,জাগরনী, ব্রাক,বুরো বাংলাদেশ,সাজেদা ফাউন্ডেশন সহ দৌলতপুরে সকল এনজিও-র কার্যক্রম চলছে আপন গতিতে। বাইরে তালা লাগিয়ে খোলা রাখা হয়েছে সকল এনজিও অফিস। ফোনে চাওয়া হচ্ছে কিস্তি। নেই প্রশাসনিক কোন নজরদারি, ফলে জনজীবনে 'কে করে তুলেছে অনেকটা বিপর্যস্ত ।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডানের মধ্যে আল্লার দরগা ব্রাঞ্চ এনজিও সাজেদা ফাউন্ডেশন পুরোদমে চালাচ্ছে তাদের কাযক্রম। সরকারের বিধি নিষেধ কে অমান্য করোনার মধ্যে অফিস খোলা রেখেছে সাজেদা ফাউন্ডেশন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাজেদা ফাউন্ডেশনের এক এনজিও কমী জানান, আমরা আছি বিপদে, কেননা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ কঠোর লকডাউনের কারনে অনেকটাই বিপাকে। তারা কোন কাজ-কর্ম ঠিক ভাবে করতেে পারছে না কিস্তি দিবে কিভাবে অথচ এনজিও-র ম্যানেজার স্যার আমাদের কিস্তি আদায়ের জন্য প্রতিনিয়ত গ্রামে পাঠাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইং ২১/০৪/২০২১ তারিখে অনুশন্ধানে গেলে, সাজেদা ফাউন্ডেশন আল্লার দরগা ব্রাঞ্চের এনজিও কমীরা গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে নারাজ, পরে এনজিও কর্মীরা মটরসাইকেলে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। ভিতরে গেলে দেখা মেলে অফিস সহকারী বায়েজিদ নামে এক ব্যাক্তির সাথে। তিনি জানান, হ্যা আমাদের কিস্তি আদায় চলছে তবে অল্প। আল্লার দরগা ব্রাঞ্চের সাজেদা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার শাহাব উদ্দিন কে না পেয়ে তার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ব্যাস্ত আছি, তাই বলে ফোন কেটে দেন শাহাব উদ্দিন।