এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ,স্টাফ রিপোর্টারঃ ঘুম আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় এক নেয়ামত।ঘুমই মানুষের শারীরিক ও মানসিক তৃপ্তি লাভের এক অন্যতম মাধ্যম। আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারীমে বলেনঃ وجعلنا نومکم سباتا-
আমি রাতকে বানিয়েছি ঘুমের(প্রশান্তির) জন্য। তাই মানুষের সঠিকভাবে জীবনযাপনের জন্য ঘুমের কোন বিকল্প নেই। ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারলে মানুষ তার স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করতে পারে না। সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততার পর মানুষ ঘুমাতে গেলে অনেক সময় দিনের সে সব কাজকর্ম স্বপ্নেও করতে থাকে।
আবার অনেকে ঘুমের মধ্যে ভয়ংকর স্বপ্নও দেখে। আর তা দেখে অনেকেই ভয় পেয়ে যায়। কেউ আবার হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠে। কেউবা চিৎকার চেঁচামেচি করে। তাতে মানুষের মাঝে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়, যা মানুষকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে।
ঘুমে ভয় পাওয়ার ফলে অনেকে আর স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে পারে না। এ ভয়ে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ঘুমের মধ্যে ভয় পেলে হাদিসে নির্দেশিত দোয়া পড়া জরুরি।
দোয়াঃ-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, যখন কোনো মানুষ ঘুমের মধ্যে ভয় পায় তখন যেন সে বলে-
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَّحْضُرُوْن
উচ্চারণ : আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ইক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াত্বিনি ওয়া আই-ইয়াহদুরুন।' (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার উছিলায় তাঁর ক্রোধ, শাস্তি এবং তাঁর বান্দাদের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা ও তার উপস্থিতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
ফযীলতঃ-নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পায় তখন সে যেন উক্ত দোয়া পাঠ করে। ফলে কোন কুমন্ত্রণা তার ক্ষতি করতে পারবে না।
ডাক্তারী পরামর্শানুযায়ী হালকা পানি খাওয়া ও একটু হাটাহাটি করাও অনেক উপকারী।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের পরিপূর্ণ জীবন বিধান পালনে এবং হাদিসে শেখানো দোয়াগুলোর মাধ্যমে সুস্থ, সুশৃঙ্খল ও সুন্দর জীবন যাপনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
মাশাআল্লাহ
জবাব