লকডাউনে বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ

বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবারও অনিশ্চয়তায় খেটে খাওয়া মানুষ। খেয়ে- না খেয়ে দিন কাটানোর শঙ্কা ভর করছে তাদের চোখে-মুখে। ২০২১ এর আগমনে বিষ মোচনের যে স্বপ্ন বুনেছিলেন- তা ফিঁকে হচ্ছে লকডাউন দুশ্চিন্তায়। কপালের ভাজ বাড়াচ্ছে, গেলো এক বছরে নেয়া ঋণের বোঝা। পরিস্থিতি সামাল দিতে, শ্রমজীবীদের সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় গঠনমূলক পরিকল্পনার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

 
খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কষ্টের দিনলিপি এখনো জীবিত চোখের সামনে। এখনো অভাব আর অপ্রাপ্তির খাতাও হয়তো দীর্ঘ হচ্ছে কারো কারো। অথচ, বছর না ঘুরতেই আবারো সামনে আসছে নিষ্ঠুর বাস্তবতা।লকডাউনের খবরে সত্তোরোর্ধ্ব আকরাম মিয়ার কপালে স্পষ্ট হচ্ছে চিন্তার ভাঁজ। কারণ, তার টিকে থাকার লড়াইটা যে প্রতি মুহূর্তের। শুরুর দিন এদিক-ওদিক করে খানিকটা আয় হলেও, অজানা শঙ্কা ভর করছে প্রতিনিয়ত।

গেলো বছরের লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য দিন মজুর। যাদের বড় একটা অংশই ফিরতে পারেননি আগের অবস্থায়। ফলে, এক রকম মরেও বেঁচে থাকার যন্ত্রণা এখনো তাড়া করছে তাদের। অনেকেই জড়িয়েছেন ঋণের জালে। কেউ ত্যাগ করেছে এই শহরের মায়া। তাই, এবারের পরিস্থিতি নিয়ে বড় হচ্ছে দুশ্চিন্তা।অর্থনীতিবিদদের মতে পরিকল্পনাবিহীন এই লকডাউন সবচেয়ে বেশি ভোগাবে নিম্নআয়ের মানুষকে। বরং, দোকানপাট বন্ধ না রেখে দরকার ছিল বিকল্প ও গঠনমূলক পরিকল্পনার। ব্র্যাকের গবেষণা অনুযায়ী, গেলো বছরের লকডাউনে আয় কমেছিল অন্তত ৭০ শতাংশ গরীব মানুষের।

মোঃ শাকিল আহমেদ 
চৌহালী সরকারি কলেজ
চৌহালী, সিরাজগঞ্জ। 

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ