পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ- পটিয়া যৌথুক ও নারী নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্ট আসামি ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরীতে বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন য়ৌথুক নির্য়াতনের শিকার (হুমাইরা আকতার২১) নামে এক নারী। নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের মামলা নং ৩১৪/১৯ ইং সুএে জানাযায়, গত ২০ নভেম্বর ২০১৬ সালে পটিয়া কচুয়াই ইউনিয়নে আজিমপুর খন্দকার বাড়ির মোহাম্মদ হোসেন এর কন্যা হুমাইরা সাথে একই গ্রামের সালেহ উদ্দিন ছেলে মোঃ আরমান হোসেন সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহ পর তাদের সংসার বর্তমানে ইমরান হোসেন তানিম নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিবাহর পর থেকে হুমাইরাকে তার স্বামী আরমান বাপের বাড়ি থেকে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে য়ৌথুকের ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। এ নিয়ে
হুমাইরা আকতার দাম্পত্য জীবনের সুখের কথা চিন্তা করে বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দেন স্বামী কে। কিন্তু য়ৌথুকলোভী স্বামী আরমান হোসেন কিছুদিন নিরব থেকে আবারও য়ৌথুক টাকা দাবি করে। এতে হুমাইরা তার পিতার আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় অপারগতার প্রকাশ করিলে গত ০১/০৯/২০১৯ ইং দুুইদফা মারধর করে আরমান সহ তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি হুমাইরা কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে
।এ ঘটনার খবর পেয়ে হুমাইরা পিতা মোঃ হোসেন মা শামীম আকতার মেয়েকে শশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নেয়। এনিয়ে পটিয়া থানায় ও ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সালিশ বিচার হয়। এতে ক্লান্ত হয়নি আরমান পুর্নরায় মারধর নির্যাতন চালায়।তা সহ্য করতে না পেরে এর প্রতিকার চেয়ে হুমাইরা আকতার বাদী হয়ে তার স্বামী আরমান হোসেন শশুর মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন, শাশুড়ী হাছিনা আকতার, ননদ আইরিন আকতার, দেবর আরাফাত হোসেন এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল৩ মামলা নং ৩১৪/১৯ ইং দায়ের করে। মামলা টি দীর্ঘদিন শুনানি শেষে গত মাসে আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে।বর্তমানে আসামিগন পলাতক থেকে মামলার বাদীনীকে নানানভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য। গত ২ বছর যাবত আরমান হোসেন তার স্ত্রী ছেলে সন্তানের কোনধরণের বরণ পোষণ না দিয়ে ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরী করার সুবাদে ঐখানে বহাল তবিয়তে থেকে অন্যাতাই বিয়ে করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে বলে হুমাইরা আকতার অভিযোগ করেন। অভাব অনটনে মানবতার জীবন যাপন করছে হুমাইরা সন্তান নিয়ে। সে এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।