![]() |
প্রতীকী চিত্র, উৎস : ইন্টারনেট |
আমাদের মত অবসর ভোগীদের ধর্ম চিন্তা অনেক বেশি। আমরা মসজিদকে ইবাদতের জন্য বেছে নিয়েছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ি। তার বাইরে যত প্রকার নামাজ আছে সবটাই মসজিদে পড়ার কোশেস করি।
সারাক্ষণ আমল নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমল মানে বুঝে নিয়েছি তসবিহ পাঠ। নামাজ পড়া, সাওম পালন, কালিমা পাঠ, সুয়োগ থাকলে হজ্জ করি। যাকাত যেন বোঝা, দিতে চাইনে আদৌ। আমরা কোন কষ্টকর কাজ আর করি নে।
বাজারে বসি, এ দোকান, সে চেম্বার ঘুরি, গল্প গুজব করি। আমাদের দুচোখে কেবল বেহেশতের শান শওকত ও তা পাবার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চোখে পড়ার মত।
আমাদের কোন সামাজিক দায় আছে কিনা জানি না। জানলেও পালন করি না। আমি নিজে যেতে পারিনি তবে তাবলীগ জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট। ৪১ দিনের চিল্লা দিতে গেছেন।
আমার মনে হয় অবসরে গেলে বেশির ভাগ মানুষ সন্যাস গ্রহন করে। পেনশন নিয়ে বেঁচে থাকে। আমাদের সংসার বিমুখতা আমাদের জন্যই সমস্যা বয়ে আনছে।
আমরা সংসারে দায়িত্ব পালন না করার কারণে সংসারে আমাদের কোন গুরুত্ব নেই। যে কোন সামাজিক কার্যক্রমে অংশ না নেবার কারণে সামাজিকতা থেকে ছিটকে গেছি। সামাজিকভাবে বয়কটের মত একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলে আমাদের সময়।
আমরা নিস্ক্রিয় বলে অধস্তন রাও পাশ কাটিয়ে চলে। পরিবারের সদস্যরা, কি বোঝ তুমি, বলে তাচ্ছিল্য করার সুযোগ পায়।
পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য কোন দায়িত্ব না নেবার কারণে আমরা কোন সংস্কার দিতে পারছি না শিশুদের।
ফলটা বেশ তিক্ত স্বাদ। আমাদের কোন পরিজন নেই।
গোলাম মোস্তফা, প্রধান শিক্ষক (অবঃ)