নরশিংটিলা এলাকায় চুরের উপদ্রব, আতংকে দিনাতিপাত করছেন এলাকাবাসী

সিলেট ব্যুরো: সিলেট নগরীর বাগবাড়ী নরশিংটিলা এলাকায় বিগত ১৬ মে  থেকে ১৯ মে পর্যন্ত  ১ টি মুদি দোকান ১ টি লেডিস শপ, থেকে আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট সহ কয়েকটি দোকানে লুটপাট করার পরিকল্পনা করে একটি সংঘবদ্ধ চুর চক্র। 

গত ১৬ ই মে নরশিংটিলার বাসিন্দা টগর দত্তের বাসায় রাত আনুমানিক রাত আড়াই ঘটিকার সময় বাসায় ডুকে মোবাইল নিয়ে যায়, ১৮ ই মে হাজী গিয়াস ষ্টোর নামের এক মুদি দোকানে ডুকে দেড় লক্ষ টাকার চুরির ঘটনা ঘটে ঐদিন ই আর এম লেডিস্ সপে ডুকে ৩০ হাজার টাকার শাড়ি কাপড় ও গোল্ড প্লেটের জুয়েলারি মাল দোকানের তালা ভেঙে চোর চক্রটি নিয়ে যায়, ১৯ মে রাত আনুমানিক তিনি ঘটিকায় সংঘবদ্ধ চুরচক্র টি নোমান আহমদের বাসা ডুকে চুরি করতে ব্যর্থ হয়ে এলাকার পারভেজ আহমদের বাসা ও জৈনক উকিল সাহেবের বাসায় ডুকে মুল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এভাবে একের পর এক চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।প্রতিটি ঘটনাই ঘটেছে রাত ৩/৪ টার মধ্যে। খারাপ আবহাওয়ার প্রতিদিন রাত হলেই শুরু হয় বৃষ্টি আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে চক্রটি সংঘটিত করছে একের পর এক চুরির ঘটনা।

এব্যাপারে এলাকাবাসীরা জানান, আমাদের এলাকার ভিতরে রয়েছে ৩ টি প্রধান ফটক। এলাকার প্রবেশ মুখের ফটকগুলোতে ও ভিতরের পয়েন্ট অনুযায়ী  সিকিউরিটি গার্ড পাহারায়। তারপর ও সংঘবদ্ধ চুর চক্রটি তাদের চুরি অব্যাহত রেখেছে।  এতে আমাদের কে প্রতিটি রাতে আতংকের মধ্যে ঘুমাতে হয়। ঠিকমত ঘুমাতে পারিনা। তাছাড়া  এলাকার প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে বখাটেদের উৎপাত। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত অবধি চলে চলে এদের উৎপাত। আত্মসম্মানের ভয়ে হোক আর যেকোন ভয়ে হোক কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তাদের পেছনে রয়েছে স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাশালীরা। 

অনেকে আবার বলছেন পাহারাদার থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এ রকম চুরির ঘটনা ঘটে। এলাকায় হয়তো তাদের কোন লোকজন রয়েছে যার সুত্র ধরে তারা এমন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড করছে।

উল্লেখ্য এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মখলিছুর রহমান কামরানের উদ্যেগে করা হয়েছে পঞ্চায়েত কমিটি,রয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা। এত কিছু থাকার পরও কিভাবে  এরকম চুরির ঘটনা ঘটে এ নিয়ে রয়েছে নরশিংটিলা এলাকাবাসীর মনে নানান প্রশ্ন। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আরো বড় ধরনের অপরাধ মুলক ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা রয়েছে।

ঘটনায় হাজী গিয়াস ষ্টোরের স্বত্তাধিকারী শেবুল আহমদ কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সাথে চুরির বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরানকে অবগত করেন ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসীরা।এ ব্যাপারে নৈশ প্রহরীরা জানায়, রাতে ঘটনাগুলো ঘটে নি।  ঘটেছে ভোরে আমাদের  ডিউটি শেষ হওয়ার পর খবর পেয়ে পঞ্চায়েত কমিটি  প্রতিটি বাসায় ও দোকানে পরিদর্শন করেন।

২/৩ দিনের মাথায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ও নেই কার্যকরী পদক্ষেপ,  এরকম চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মখলিছুর রহমান, স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটি, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ  ও  সকল প্রকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ