মোঃ লাতিফুল আজম,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ এক সময় প্রতিটি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে দিন ক্ষণ সময় নির্ধারণের অন্যতম মাধ্যম ছিল হাত ঘড়ি।ঘড়ি শুধু সময় জানাতে নয়, ঘড়ি মানুষের ব্যক্তিত্বকে শানিত করে এবং স্টাইল জীবনের একটি অন্যতম নিদর্শন।আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশের অংশ হিসেবে ব্যক্তিত্ববান পুরুষ ব্যবহার করত বাহারি ডিজাইনের নামিদামি বিদেশী ব্রান্ডের হাত ঘড়ি। ঘড়ি ঘরেও নতুন ঘড়ি ক্রয়, পুরাতন ঘড়ি মেরামতে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়ে সহ সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। কিন্তু এখন নীলফামারী কিশোরগঞ্জ শহরে ব্যাটারি চালিত ৩ কাটার ঘড়ি মেকারদের সময় কাটে অপেক্ষায়। অতীতের একটা সময় ঘড়ির ব্যবহার নিম্ন পর্যায়ে চলে আসে।ফেরিওয়ালা থেকে শুরু করে কেজি দরে ফুটপাত, বিপণি বিতানে ঘড়ি পানির দরে বিক্রি শুরু হয়। এতে এক শ্রেণীর মানুষ ঘড়ির ব্যবহারে মুখ ফিরিয়ে নেন।অন্যদিকে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ডিজিটাল ঘড়ি আর সব শ্রেণী-পেশার মানুষের পকেট ভর্তি মোবাইল ফোনের ছড়াছড়িতে ঘড়ির ব্যবহার অনেকাংশে কমে গেছে। নানাবিধ কারণে ঘড়ি মেকারদের কাজে তেমন ব্যস্ততা দেখা যায় না। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চাতক পাখির মত সময় কাটে ঘড়ি মেরামতের কাস্টমারদের অপেক্ষায়। এমন অপেক্ষায় দিনে হয়তো কেউ আসে। আবার ভর দিনে একজনও আসে না। উপজেলার ঘড়ি মেকারদের দিনলিপিতে এমন চিত্র দেখা গেছে।এ শহরে অনেকে এ পেশায় ভাল করতে না পেরে কোন রকমে বেঁচে আছেন। উপজেলার পাকুড় তলার ঘড়ির মেকার মতিন জানান, এ পেশায় এক সময় জৌলুস ছিল এখন আর নেই। বর্তমানে এ আয়ে সংসার চলে না। বছর দশেক আগে নতুন ঘড়ি বিক্রি ও মেরামতে কাস্টমারদের চাপ ছিল অনেক।সিরিয়াল অনুযায়ী কাস্টমারদের নিকট ৫/৭ দিন সময় নিয়ে ঘড়ি মেরামত করে দেওয়া হত। এখন টার সময় কেউ অপেক্ষা করেনা।বর্তমানে খুব কম লোকই ঘড়ি মেরামত করতে আসে।কেউ ঘড়ি মেরামতে নয়,ঘড়ির পুরোনো ব্যাটারি কিংবা ফিতা বদলাতে আসেন।এই বয়সে এসে আর পেশা পরিবর্তনের কথাও ভাবেন না তিনি।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)