আশাশুনির পাইথালী বাজারে বিসমিল্লাহ স্টোরেপন্যের এমআরপি থেকে বেশি দামে বিক্রির প্রমান মিলেছে

আহসান উল্লাহ বাবলু আশাশুনি সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী বাজাওে মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোরে করোনাকালীন সময়ে ক্রেতার অসহায়ত্বের সুযোগে ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পন্যের এমআরপি থেকে বেশি দামে বিক্রির প্রমান পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের পূর্বদিন সন্ধ্যার পরে উল্লেখিত স্টোরে। জানাগেছে, ক্রেতা ২ লিটারের ২টি ক্লেমন নিয়ে দোকানদারকে ২০০ টাকা দিলে ক্রেতাকে সে ৭০ টাকা ফেরত দেয়। এমআরপি অনুযায়ী ৬০ টাকা দরে ১২০ টাকার স্থানে ১৩০ টাকা নেওয়ার কারন জানতে চাইলে দোকানদার ক্রেতাকে বলেন, আমি বেশি দামে ক্রয় করেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। এসময় ক্রেতা বলেন, যেখানে কোম্পানী কর্তৃক সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে বেশি নেওয়াটা তো অন্যায়। জবাবে দোকানদার বলেন এটা সিস্টেম। ক্রেতা এবং দোকানদারের দামাদামি সংক্রান্ত কথোপকথন পাশে দাঁড়ানো অন্য একজন কাস্টমার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওটিতেও ক্রেতা ও বিক্রেতার কথোপকথন শুনে এমনটি মনে হয়েছে যে, কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ মূল্য যেটাই হোক না কেন সে তার ইচ্ছামত দামে পন্য বিক্রি করবে। বিষয়টি নিয়ে মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোরের স্বত্বাধিকারী আবুবক্কার ওরফে খোকন গাজীর ছেলে দোকানদার জিএম শামিম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার দোকানের পণ্য আমি আমার ইচ্ছা মতো দামে বিক্রি করবো। আমি এবিষয়ে কারো কৈফিয়াত দেবো না। দেশের আইন বলে একটা জিনিস আছে, আপনাকে অবশ্যই ভোক্তা অধিকার আইন মেনে চলা উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে শামীম বলেন, এতে আর কি হবে বড়জোড় কিছু জরিমানা। সেটা পরে দেখা যাবে। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ইতিপূর্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, ভেজাল পণ্য বিক্রি ও লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলা রাখার অভিযোগে জরিমানা ও গুনেছেন তিনি। কাস্টমারের সাথে দুবর্যবহার এটাতো সাধারণ বিষয় তার জন্য। এভাবেই ব্যবসা করে আজ কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। ভুক্তভোগী ক্রেতা এবিষয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসাইন খাঁনের পরামর্শ চাইলে তিনি ভুক্তভোগী ক্রেতাকে বলেন, কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত এমআরপি'ই হলো যে কোন পন্যের সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য। এটা আন্যায়। আপনি চাইলে ভোক্তা অধিকার আইনে ওই প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। এদিকে করোনাকালীন সময় সাথে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দোকানদারের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল ও ক্রেতা সাধারণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ