রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে অযত্ন-অবহেলায় ফেলে রাখা বৃদ্ধা মায়ের দায়িত্ব নিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকতেখারুল ইসলাম। একবস্ত্রে দীর্ঘ সময় বৃদ্ধা জরিনা বেওয়া কুঁড়েঘরে বন্দী এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে ইউএনওর নজরে পরে। দেরি না করে ওই দিন গতকাল বুধবার বিকেলে বৃদ্ধার বাড়ীতে হাজির হন ইউএনও ইকতেখারুল ইসলাম, ওসি আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানবক্র সরদার, সমাজসেবা অফিসার সাইফুল ইসলাম, প্রতিবন্ধী অফিসার পিএম কামরুজ্জামান। সব কিছু দেখে ওই মুহুর্তে খাদ্য সামগ্রী, পোষাক, বিছানা, হুইল চেয়ার, ঘড়ে চোকি এবং ফ্যান টাঙিয়ে দিয়ে চিকিৎসাসহ বৃদ্ধার বঁাকী জীবনের দায়িত্ব নেন ইউএনও।
জানা যায়, বছর চারেক আগে বয়স্ক ভাতা নিয়ে বাড়ীতে ফিরছিলেন উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বৃদ্ধা জরিনা বেওয়া। পথিমধ্যে ভ্যান দুর্ঘটনায় ডান পায়ের দুই স্থানে ভেঙ্গে যায়। অভাবী সংসারে কিছুদিন চিকিৎসা করালেও তা বেশিদুর এগুতে পারেনি। আনুমানিক কুড়ি বছর আগে জরিনার স্বামী সখি মন্ডল মারা যান। তিনি মারা যাবার পূর্বে বাড়ীর ভিটা দুই ছেলে ও তিন মেয়েকে লিখে দেন। স্বামীর অংশিদার সূত্রে যা পান সেটাও দুই ছেলেকে লিখে দেন জরিনা। বাবা-স্বামী, ছেলে-মেয়ের বাড়ী পাশাপাশি হয়েও টিনের বেড়া টিনের ছাপরা ঘড়ের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে জরিনাকে।
ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, এক সময় অনেক কিছু ছিলো মৃত সখি মন্ডলের। তিনি মারা যাবার আগে ও পরে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। দুই ছেলের ভাঙ্গা একটি করে মাটির ঘড় ছারা কিছুই নাই। মানুষের বাড়ীতে ডে লেবারের কাজ করে সংসার চালায় তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জরিনা বেওয়ার দুরাবস্তার খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে তার সত্যতা পাই। তৎখনাৎ প্রধান মন্ত্রীর ত্রাণ সামগীসহ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে প্রয়োজনীয় পরিবেশের পাশাপাশি চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষনিক খবর রাখতে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।