মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষিকে বরাবরই অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপ ও পরিকল্পনায় কৃষি আমাদের কাছে বিস্ময়কর সাফল্য নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত আট বছরে চাল উৎপাদন বেড়েছে ৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এই কঠিন কাজটি সম্ভব হয়েছে কৃষকদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি, সময়মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ, কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা, ভর্তুকি মূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণসহ বিভিন্ন কৃষিবান্ধব পদক্ষেপের কারণে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানে কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টির বিকল্প নেই এবং খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিক্ষিত যুবাদের কৃষিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আর সেটা দেশের অগ্রগতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’’বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউসিবি-র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান এফসিএস বলেন, "আমাদের বিশেষ সিএসআর প্রকল্প দেশের কৃষি-উদ্যোক্তাদের মনে একটি 'ভরসার নতুন জানালা' খুলে দেবে। সোনার বাংলা গড়ার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা কৃষি ও কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।
লালমনিরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী কৃষি-উদ্যোক্তা সম্মেলনে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ২৫০জন উৎসাহী কৃষি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। ইউসিবির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহ আলম ভূইয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হামিদুর রহমানসহ ব্যাংক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। একই দিনে নীলফামারীতে ডেনিশ লেপ্রসি মিশন মিলনায়তনে জেলার ৬টি উপজেলার ১৫০ জন কৃষি উদ্যোক্তাকে নিয়ে একই ধরনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।লালমনিরহাট ও নীলফামারী উভয় প্রশিক্ষণেই সহায়তাকারীগণ কৃষি উদ্যাক্তা হওয়ার উপায়, মূলধন, বিপণন, ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকিং এবং উদ্যাক্তা হিসেবে বিকশিত হওয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।