হিলিতে রমজান মাসে বেড়েছে আখের গুড়ের বিক্রি

কৌশিক চৌধুরী, হিলি প্রতিনিধিঃরমজান মাসে দিনাজপুরের হিলিতে আখের গুড় বিক্রি বেড়েছে। আগে  শীত মৌসুমে পিঠা তৈরির সময় ছাড়া তেমন একটা আখের গুড় বিক্রি হতো না।  কিন্তু রমজান মাসে ইফতারিতে শরবত তৈরির জন্য আখের গুড় বেশি কিনছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারিতে শরবত বেশিরভাগ রোজাদারই পান করেন। তাই পরিবারের জন্য আখের গুড় কিনছেন তারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি বছর রমজান মাসে যেমন আখের গুড় বিক্রি হয়, এবারও তাই হচ্ছে। 
 
আখের গুড় কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে এসেছি আখের গুড় কিনতে। ইফতারিতে গুড়ের তৈরি শরবতে তৃপ্তি পাওয়া যায়। যদিও কেউ কেউ চিনির শরবত, স্যালাইনসহ অনেক কিছু ইফতারিতে ব্যবহার করেন। তবে আমার পরিবারে আমি আগে থেকেই গুড়ের তৈরি শরবত ব্যবহার করি। তাই আখের গুড় কিনতে আসছি।'আরেক ক্রেতা হাসান আলী বলেন, গুড়ের দাম বাড়েনি আগেও ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিলো। এখনো ওই দামেই বিক্রি হচ্ছে। ইফতারিতে চিনির তৈরি শরবতের চেয়ে গুড়ের তৈরি শরবত অনেক ভালো লাগে। তাই বাজারে আখের গুড় কিনতে এসেছি।'
হিলি বাজারের গুড় ব্যবসায়ীক পিন্টু বসাক বলেন, আমরা পারিবারিক ভাবেই গুড় ব্যবসা করে আসছি। আমার বাবাও আখের গুড়, খেজুরের গুড় বিক্রি করতেন। বর্তমান আমি বিক্রি করি। আসলে গুড়ের ব্যবসা কিছুটা মৌসুমি ব্যবসায়ের মতোই। শীতের সময় খেজুরের গুড় আর গরমের সময় আখের গুড়ের চাহিদা বাড়ে। রমজানে বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে।
 
হিলি বাজারের গুড় ব্যবসায়ীক ইয়াছিন রহমান বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকা  থেকে আখের গুড় সংগ্রহ করে বাজারে  করতাম। এখন আমাদের পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জে আখের গুড়ের বড় মোকাম হয়েছে। মোকামে ১শ টাকা কেজি দরে কিনে ভ্যান যোগে হিলিতে নিয়ে আসি। গুড়  মাটির তৈরি পাত্রে করে আনতে হয় । এতে ভ্যান ভাড়াও বেশি পড়ায় হিলিতে আনতে ১১০ টাকা কেজি পরে। বর্তমানে বাজারে গুড় বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দানা গুড় আমদানী হচ্ছে । ভারতীয় গুড়ের তেমন চাহিদা না থাকায় বর্তমানে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে।
 

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ