শিশুকে বলৎকারের অভিযোগে কাফনের কাপড় বিক্রেতার বিরুদ্ধে মামলা

আজহারুল ইসলাম মোহনগঞ্জ: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে (১১) বলৎকারের অভিযোগে কাফনের কাপড় বিক্রেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।অভিযুক্তের নাম  মো. হাছান মিয়া (৫৫)। তিনি পৌরশহরের খলিফাপট্রি এলাকার বাসিন্দা। শহরের খলিফাপট্টিতে নিজস্ব দোকানে দীর্ঘ বছর ধরে কাফনের কাপড় বিক্রি করেন তিনি।আর ভুক্তভোগী শিশু পাশের উপজপলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সে শহরের একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করে।মঙ্গলবার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এরআগে গত শনিবার এ মামলা দায়ের করা হয়।তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হাছান মিয়া পলাতক রয়েছে।

মামলার অভিযোগ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় হাছান মিয়ার দোকানে যায় ওই শিশু। নানা প্রলোভনে শিশুটিকে দোকানে বসিয়ে রাখেন তিনি। পরে রাত ১১টার দিকে আশপাশের  সব দোকান বন্ধ হয়ে গেলে শিশুটিকে ভেতরে রেখেই দোকানের শার্টার লাগিয়ে ফেলেন হাছান। পরে এক পর্যায়ে ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে বলৎকার করেন তিনি। গভীর রাতে শিশুটিকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে তিনি বাসায় চলে যান। এদিকে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে এই বিষয়টি তার মাকে জানায়। শিশুটির মা এলাকার লোকজনকে জানালে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী হাছান মিয়াকে দোকানে গিয়ে মারধর করতে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাছান মিয়া দোকান ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। 

হাছান মিয়ার পাশের ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলামসহ অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, হাছান মিয়া দীর্ঘবছর ধরে এখানে কাফনের কাপড় বিক্রি করেন। আমরা তাকে ভালো মানুষ হিসেবেই চিনি। তবে কারো অন্তরের খবর তো বলা যায় না। ঘটনা সত্য হতে এর চেয়ে নিকৃষ্ট আর কিছু হতে পারে না। আর মিথ্যা হলে তাকে এই অভিযোগ থেকে সম্মানের সাথে মুক্ত করা হোক।পলাতক থাকায় হাছান মিয়ার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পর হাছান মিয়া এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ