সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী কমলাপুর হাসান গ্রামের বলেন, সড়ক জুড়ে বড় বড় গর্তের কারণে যাতায়াতে তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পাঁজিয়া গ্রামের ভ্যান চালক হাফিজুর রহমান বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কোন যাত্রি সহজে ভ্যানে উঠতে চায় না। এতে তাদের ইনকামও বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পথচারীদের বিকল্প সড়ক দিয়ে কেশবপুরে আসতে হচ্ছে। উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভ্যানগাড়িতে উঠলে এ পাশ ওপাশ খেলে যাওয়ার অনস্থা হয়। অনেকে ভ্যান থেকে পড়ে আহত হচ্ছে। ইজিবাইক চালকরা বলেন, মাঝেমধ্যে সড়কের বড় গর্তে যানবাহন আটকে যাচ্ছে। তখন ৩/৪ জন ধরে ঠেলে পার করতে হচ্ছে। রাস্তাটি নষ্ট হওয়ায় গাড়ি নিয়ে বড়েঙ্গা সড়কের বর্ষাখোড়ার মোড় হয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে মাগুরাডাঙ্গা ঈদগাহে উঠে কেশবপুরে আসতে হচ্ছে। এযেন দেখার কেউ নেই। তিনি সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষসহ কয়েক'শ গাড়ি চলাচল করে। দুর্ভোগের কথা ভেবে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় দ্রুত খোয়া দিয়ে গর্ত ভরাট করে চলাচলের উপযোগি করার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু গর্ত ভরাট করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নাজিমুল হক বলেন, এসড়ক পুণঃসংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। বর্ষার অতিরিক্ত পানিতে সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় উঁচু করে সংস্কার করার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। খুব শীঘ্রই ঠিকাদারের মাধমে সংস্কার করা হবে।