বসুন্দিয়ায় পারিবারিক কলহে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা


মো: মুরাদ হোসেন , বসুন্দিয়া (যশোর) প্রতিনিধি
:যশোর সদরের বসুন্দিয়ার গাইদগাছি হাফিজুর মোড়লের স্ত্রী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় নিজ গৃহ  সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো দুই সন্তানের জননী সোনিয়া বেগমের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ফজলুল হক জানান সকালে কুয়েত প্রবাসী স্বামী হাফিজুর মোড়লের সাথে পারিবারিক কলহের জেরে ফোনালাপে কথা কাটাকাটির পরে নিজ গৃহে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া বেগম।

ইউপি সদস্য আবদুল কাদের বলেন, বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী সোনিয়া বেগম বাড়িতে কাঁথা সেলাই করছিল, তখন সময় ৮.২৯ মিনিট। স্ত্রী সোনিয়ার ফোন রিসিভ না হয় কুয়েত প্রবাসী হাফিজুর মোড়ল পিতা সয়ির মোড়ল এর ফোনে কল দেন এবং স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাইলেন ৮:৩৪ মিনিটের সময় সোনিয়া বেগম স্বামীর সাথে  দুই মিনিটে কথা না করেই নিজের শোবার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পুত্রবধূকে দরজা বন্ধ করতে দেখে শশুরের সন্দেহ হয়। এরপর তিনি জানালা দিয়ে দেখেন সোনিয়া বেগম গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলছে। তখন চিল্লাপাল্লা করে লোকজন ডাকতে থাকেন। তার ডাকে প্রতিবেশী অহেদুজ্জামান মোড়ল, দেবর জিয়া মোড়ল সহ কয়েকজন ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সোনিয়া বেগমকে বাঁচাতে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। বড় কাঠ দিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ৯টা ৩মিনিটে সোনিয়া বেগমের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বসুন্দিয়া মোড়ের গ্রাম্য ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু ততক্ষণে সোনিয়া বেগমের মৃত্যু ঘটেছে। প্রবাসী হাফিজুর মোড়ল ও সোনিয়া বেগমের ১১ বছর বয়সের মিরাজুল ইসলাম এবং ৪ বছর বয়সী তাহসিন নামে দুজন পুত্র সন্তান রয়েছে ।

বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ফজলুল হক সুরতহাল তদন্ত করেন। বিকালে মৃতদেহ যশোর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান।ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যা সাতটায় মৃতের লাশ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।  মৃত সোনিয়া বেগমের বাবা মিজানুর গাজী অভয়নগরের মডেল কলেজ এলাকার বাসিন্দা।পরিবারিক সিদ্ধান্তক্রমে রাত ৯টায় হাফিজুর মোড়লের পারিবারিক গোরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


সংবাদটি শেয়ার করুন
এটিই সর্বশেষ সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ