বৃত্তি পরীক্ষার ধারাবাহিকতায় এবছর চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর সর্বমোট ৮২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা পরীক্ষা সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়। বসুন্দিয়া, প্রেমবাগ, অভয়নগর, নরেন্দ্রপুর, জামদিয়া ও বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮২৯জন ছাত্রছাত্রী এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। টিচার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক মুহাঃ আক্তারুল আলম এর ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন জঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিদা সুলতানা। পরীক্ষার হল সুপার এর পূর্ব বসুন্দিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী খান, জিরাট আলিম মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক আব্দুল আলিম । অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ জুড়ে অভিভাবকদের সড়ক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও প্রভাষক নাজিম উদ্দিন, মাসুদুর রহমান, হাফেজ শাহ আলম, মোঃ সোলায়মান কবির, মাসুম বিল্লাহ, মোঃ মতিয়ার রহমান, মোকলেস ইবনে সোহরাব, শিপন হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন রাজা, মোঃ সাইফুর রহমান, আলী আকবর, মফিজুর রহমান, মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন।
কপোতাক্ষ নিউজে খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। অতিস্বত্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করুন।
তারেক রহমানকে দেখতে ঢাকায় যাওয়ার পথে ভোলায় ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মো: দিদার: বাংলাবাজার, ভোলাঃ জমিজমা বিরোধের জেরে ভোলায় এক ছাত্রদল নেতা খুন হয়েছেন। নিহতের নাম রেজোয়ান আমিন সিফাত। তিনি ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ও ৯নং ওয়ার্ড সম্পাদক আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে এবং নিহত সিফাত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও আসন্ন কাউন্সিলে সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন।
নিহত সিফাতের পিতা আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন সিফাত। ঢাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাড়ির কাছেই রাস্তায় উৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ৫জনকে চিনতে পেরেছি। তারা আমাদের রাজনৈতিক ও পারিবারিক দীর্ঘদিনের শত্রু। তিনি আরও অভিযোগ করেন বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে হাসিব, শাকিল, সিহাব, রনি ও মঞ্জিলসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮জন জড়িত ছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন নিহত সিফাতের আপন চাচাতো ভাই ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও রাজাপুর ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল মেম্বারের ছেলে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকা- হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পরে স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় সিফাতকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর খবর শুনে ভোলার বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভীড় জমান এবং হত্যার সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এবিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনা স্থলে পাঠিয়েছি। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।
যশোরের ৬টি আসনে চুড়ান্ত মনোনয়ন
বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল মডেল স্কুলের পরীক্ষার ফলাফল ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শ্রেণীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারী শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের অতীতের সকল উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে আহ্বান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিন্টু। জনতা ব্যাংকের সাবেক এজিএম এমন এ করিম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস, পদ্মবিলা কামিল মাদরাসার ইংরেজি প্রভাষক মোঃ নাজিম উদ্দিন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, বসুন্দিয়া মোড় বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী বিশ্বাস, বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই ফিরোজ হোসেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম খান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন বানিয়ারগাতী মহিলা মডেল দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিকক মাওলানা সাইফুর রহমান, মোঃ আমিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ার সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর, সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি, জঙ্গলবাধাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফসিয়ার রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক রোজী ইসলাম।
শহীদ হাদির স্বপ্ন: ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ
সাজেদুল ইসলাম রাব্বি স্টাফ রিপোর্টারঃ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক অনিবার্য নাম শরিফ ওসমান হাদি। জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল ওসমান গনি। পরে তিনি পরিচিত হন শরিফ ওসমান হাদি নামে। বাবার নামানুসারেই তিনি এই পরিচয় বেছে নেন। একসময় কবিতা লিখতেন ‘সীমান্ত শরিফ’ নামে। ১৯৯৩ সালের ৩০ জুন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভার খাসমহল এলাকায় শিক্ষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মাওলানা শরিফ আব্দুল হাদি ছিলেন নলছিটি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ ও খাসমহল জামে মসজিদের পেশ ইমাম। মা তাসলিমা হাদি গৃহিণী। পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদরাসাই ছিল তাঁর সাংস্কৃতিক বিকাশের মূল পাঠশালা। এখান থেকেই তিনি সংস্কৃতির নানাবিধ দিক শিখেছেন, আয়ত্ত করেছেন ও ধারণ করেছেন, যা ওসমান হাদীর ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাকে যুক্তিবাদী, স্পষ্টভাষী এবং বিতার্কিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক ও আবৃত্তিতে একাধিক পুরস্কারও অর্জন করেন।সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
রাজনীতিতে আসার আগে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। একই সঙ্গে জিআরই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতায় তিনি রাজপথে নেমে পড়েন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী যখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ভাগ বসানোর দিকে মনোযোগী হয়েছিল, তখন হাদি ব্যতিক্রমী চিন্তা-ভাবনায় মনোনিবেশ করেছেন। গর্ভবতী স্ত্রীকে ঘরে রেখে শহর-নগর-বন্দর ঘুরে গড়ে তোলেন ইনকিলাব মঞ্চ, যেখানে তিনি ছিলেন মুখপাত্র।
হাদির রাজনৈতিক চিন্তার মূলমন্ত্র ছিল সাংস্কৃতিক বিপ্লব। তিনি বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক পরিবর্তনের আগে প্রয়োজন মানুষের চিন্তা ও সাংস্কৃতির পরিবর্তন। ভারতীয় সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিপরীতে বাঙালি মুসলমানের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক সত্তাকে জাগিয়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। এই লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠা করেন 'ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার।' প্রায় শূন্য হাতে শুরু হলেও অদম্য প্রত্যয়ে এটিকে দাঁড় করান। ব্যক্তিগত জীবনের অনেক দায়িত্ব থাকার পরও, সমাজের সকল বোঝা একা কাঁধে তুলে নেন। ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি বিপ্লবের পতাকা হাতে নেন।
ওসমান হাদি ছিলেন একজন নির্ভীক বিপ্লবী। যিনি জানতেন কখন কথা বলতে হয়, কখন চুপ থাকতে হয়। কঠিন মেজাজের হলেও যথেষ্ট বিনয়ী ছিলেন। তিনি সময়ের প্রতিটি ঘন্টার গুরুত্ব বুঝতেন। কালচার বুঝতেন, আগ্রাসনের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতেন এবং মোকাবেলার পথও চিনতেন। অনেক নেতা সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রকে কেবল বিনোদনের অনুষঙ্গ হিসেবে দেখেন, আবার অনেকে আগ্রাসনের ভয় বোঝেন কিন্তু সাংস্কৃতির গভীরতা বোঝেন না। হাদি এই দুই জায়গাতেই অনন্য ছিলেন। কবি হিসেবে তাঁর শব্দের জাদু, আবৃত্তির রস এবং প্রতিবাদী কবিতা জীবনের কাজের সঙ্গে মিশে একাকার হয়েছিল। বাংলাদেশে এমন দৃপ্ত কণ্ঠ এবং স্পষ্ট অবস্থানধারী বিপ্লবী খুবই বিরল।
হাদির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল নির্বাচনী প্রস্তুতি। ২০২৫ সালের শেষ দিকে তিনি ঢাকা-৮ আসনে 'স্বতন্ত্র প্রার্থী' হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করছিলেন। সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা তিনি রাজনৈতিক অংশগ্রহণকেও নিজের সংগ্রামের অঙ্গ হিসেবে দেখতেন। দিনব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণায় সময় ও সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানোর যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। চেয়েছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তাঁর নেতৃত্বগুণ ও সাহসিকতাকে পুঁজি করে জাতীয় রাজনীতিতে সামগ্রিক পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে।গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন, বক্স কালভার্ট রোড, পুরানা পল্টনে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতেই এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থা ক্রমান্বয়ে অপরিবর্তিত হলে, উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই গোটা বাংলাদেশ শোকে স্তব্ধ হয়ে যায়। রাজপথ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মফস্বলের চায়ের দোকান পর্যন্ত তাঁর নাম উচ্চারিত হতে থাকে। একজন মানুষের এমন মৃত্যুতে সারাদেশের একযোগে শোক ও স্মরণাভিব্যক্তি বিরল এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
শহীদ ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে, কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের নিকটেই সমাহিত করা হয়। যেন বাংলাদেশের প্রতিবাদী চেতনার এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে উত্তরাধিকার বহন হয়। তাঁর মৃত্যু প্রমাণ করল মানুষ মরে যায় কিন্তু আদর্শ মরে না। হাদি চলে গেছেন, কিন্তু তার স্বপ্ন বেঁচে থাকবে। তাঁর সংগ্রাম আমাদের জন্য, আমাদের ভবিষ্যতের জন্য, আমাদের সন্তানদের জন্য। প্রচারণার চরম ব্যস্ততায় তাঁর দশ মাসের নবজাতক সন্তান দশ ঘণ্টারও বেশি সময় বাবার কোলে আসার সুযোগ পায়নি। কিন্তু দেশ ও জনগণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে তিনি পিছপা হননি।
পদবী আর অর্থের লোভে পড়ে কখনো নিজের আদর্শ ত্যাগ করেননি। অনল ভাষী এই কবি ও বক্তা ছিলেন রাজপথের অবিচল যোদ্ধা। ওসমান হাদি বেঁচে থাকবেন সেই অগণন মানুষের ভেতর যারা ভীরু হয়েও সাহস খোঁজে, যারা নিরক্ষর হয়েও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে চায়, যারা শিশুদের জন্য একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে। তিনি আমাদের ঋণী করে দিয়ে গেছেন। তাঁর জীবন ছিল আমাদের ভবিষ্যতের জন্য লেখা এক দীর্ঘ প্রতিবাদী কবিতা।শহীদ ওসমান হাদির আদর্শ চিরজীবী, এদেশের মাটিতে বেঁচে থাকবে। তারুণ্যের পক্ষে বাঙালির সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের চিহ্ন হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ কখনো তাকে ভুলবে না।