কপোতাক্ষ নিউজে খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। অতিস্বত্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করুন।

মোহনগঞ্জে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় স্কুলছাত্রের মোবাইলফোন ছিনতাই

 মোহনগঞ্জে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় স্কুলছাত্রের মোবাইলফোন ছিনতাই


মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় এক স্কুল ছাত্রের স্মার্টফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের বাবা মাসুদ খান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।

আজ রোববার মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এরআগে গত মঙ্গলবার রাতে এ অভিযোগ করা হয়।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. শুভ্র খান (১৪)। শুভ্রউপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের মেদিপাথরকাটা গ্রামের মাসুদ খানের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।আর অভিযুক্ত ছিনতাইকারী একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে বাবু খান (৩৩)। তিনি একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য।

অভিযোগ, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্কুলছাত্র শুভ্র গত ১০ নভেম্বর বিকালে বাড়ির সামনে মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। এসময় বাবু খান অনলাইনে জুয়া খেলার জন্য শুভ্রকে তার স্মার্টফোনটি দিতে বলে। এতে বাধা দেওয়ায় ছুরি ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে স্মার্টফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় বাবু। পাশাপাশি বাবু ওই শিক্ষার্থীকে হুমকি দিয়ে বলে- , এ কথা কাউকে বলবি না। আর তোকে যদি এলাকায় দেখি তাহলে জবাই করে গুম করে ফেলব। প্রাণের ভয়ে ওই শিক্ষর্থী বাড়ি থেকে অন্যত্রে পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে শুভ্র'র চাচা হাসান খান বলেন, ঘটনা শুনে পরদিন বাবুকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা চালায় ও মারধর করে। পরে আশপাশের লোকজন তার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে। বাবু এলাকায় জুয়া খেলে, নানাভাবে মানুষকে হয়রানি করে।

শুভ্রর বাবা মাসুদ খান বলেন, অভিযোগ দেওয়ার পর একদিন পুলিশ এলাকায় এসেছিলো। বাবু খানকে পেয়েও তাকে থানায় যাওয়ার কথা বলে চলে গেছে। পরে বাবু আর থানায় যায়নি। এদিকে ছেলেটা আমার ভয়ে দিন কাটাচ্ছে।  এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বাবু খানের ব্যবহৃত মোবাইলফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাবু খানের দলীয় পদের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।  এলাকার কেউ বাবুর দায়িত্ব নিতে চাইছে না। এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবুকে থানায় ডাকা হয়েছিলো, আসেনি। গতকাল তার খুঁজে এলাকায় গিয়েছিলো পুলিশ। দ্রুত তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।


লাকসামের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানার সাহসী পদক্ষেপে হাজারো কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি

 লাকসামের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানার সাহসী  পদক্ষেপে  হাজারো কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি


রবিউল হোসাইন সবুজ, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃকুমিল্লার লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানার সাহসী ও মানবিক পদক্ষেপে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের হাজারো কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।বহু বছরের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছেন উপজেলার ০৫নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের কৃষকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের গাজীরপাড় গ্রামের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত প্রায় ৮৪ একর (৮,৪০০ শতাংশ) বিশাল ফসলি মাঠ বর্ষাকালে পানিতে তলিয়ে যেত। নির্দিষ্ট কোনো ড্রেন বা কালভার্ট না থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কৃষক সময়মতো ইরিধান রোপণ করতে পারতেন না।এ বছরও একই সমস্যা দেখা দিলে, স্থানীয় কৃষকরা এলাকার কৃতি সন্তান শাফায়েত হোসেনের মাধ্যমে বিষয়টি ইউএনও নার্গিস সুলতানার কাছে তুলে ধরেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর ইউএনও নার্গিস সুলতানা নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান — সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলন চাকমা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব আহমদ উল্লাহ সবুজ, ইউনিয়ন সচিব, পুলিশ প্রশাসন। পরিদর্শন শেষে ইউএনওর তাৎক্ষণিক ও সাহসী সিদ্ধান্তে, মাত্র তিন কর্মদিবসের মধ্যে ০৭নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর গ্রামের রাস্তা কেটে মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়।পাশাপাশি কাটা স্থানে দ্রুত একটি স্থায়ী কালভার্ট নির্মাণের নির্দেশনা দেন তিনি, যা স্থায়ী সমাধান হিসেবে কাজ করবে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন,“প্রতি বছর আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়তাম, এবার ইউএনও স্যার দ্রুত উদ্যোগে মাঠের পানি নেমে গেছে। আমরা সময়মতো ধান রোপণ করতে পারব — এটি আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো।”কৃষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে।এ সময় এলাকার জনপ্রতিনিধি, কৃষক সমাজ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।ইউএনও নার্গিস সুলতানার এই দূরদর্শী ও মানবিক উদ্যোগ স্থানীয় কৃষকদের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে।

নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাবেক এমপি বাশার আকন্দ

 নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাবেক এমপি বাশার আকন্দ


গোলাম মোস্তফা ফুলপুর ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ ফুলপুরে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন ময়মনসিংহ-২ ফুলপুর-তারাকান্দা আসনের  মনোনয়ন বঞ্চিত কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবুল বাশার আকন্দ শনিবার বিকালে ফুলপুর উপজেলা পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবুল বাশার আকন্দ বলেন,দল আমাকে মনোনয়ন না দিলেও আপনারা যারা বিএনপি করেন,শহীদ জিয়ার আদর্শ লালন করেন তারা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।আমি আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত।

বাশার আকন্দ আরও বলেন,এই সিট বিএনপি পেতে চাইলে মনোনয়ন রিভিউ করার বিকল্প নেই এবং নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন মনোনয়ন চুড়ান্ত নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে থাকবো,এর আগে আবুল বাশার আকন্দের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে বিএনপি,ও কৃষকদলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশে উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান তালুকদার,উপজেলা বিএনপির সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেলোয়ার আহামেদ পৌর কৃষকদলের সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইল্লাল,ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান মানিক বক্তব্য রাখেন।

নওগাঁর আত্রাইয়ে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সবক অনুষ্ঠিত

নওগাঁর আত্রাইয়ে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সবক অনুষ্ঠিত
মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ

নওগাঁর আত্রাইয়ে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সবক অনুষ্ঠিত। আজ বুধবার ১২নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮ টায় নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ভোপাড়া ইউনিয়নে কোরআন ছবক অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ফিল্ড সুপারভাইজার  মোঃ আকবর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন এমসি মোহাম্মদ আবুল হোসেন,জিসি  মোঃ আব্দুর রাজ্জাক,মোঃ রেজাউল করিম ও আব্দুল জলিল উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও এলাকার সাধারণ জণগণ উপস্থিত ছিলেন দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করা হয়।

আত্রাইয়ে ইটভাটা বন্ধের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

আত্রাইয়ে ইটভাটা বন্ধের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ 


চলতি মৌসুমে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সরকারি নির্দেশনার প্রতিবাদে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় মানববন্ধন করেছে ইটভাটা শ্রমিক ও মালিক সমিতি। কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ ও হাজারো শ্রমিকের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ইটভাটা চালুর অনুমতি চেয়ে বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।ইটভাটা মালিক সমিতির সদস্য মো. আশাদুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটার শ্রমিক ও মালিকরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইটভাটা বন্ধ করে দিলে হাজারো শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে এবং তাদের পরিবার-পরিজন চরম অনিশ্চয়তায় পড়বে। মানবিক দিক বিবেচনা করে চলতি মৌসুমে ইটভাটা পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি তারা জোর দাবি জানান।মানববন্ধন শেষে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নূরে আলম সিদ্দিকের বরাবর ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চলতি মৌসুমের ইটভাটা পরিচালনার জন্য মালিকরা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করেছেন। এই অর্থ কাঁচামাল, শ্রমিকের পারিশ্রমিক ও জমি ভাড়াসহ প্রাথমিক প্রস্তুতিতে ব্যয় হয়েছে। তারা জানান, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ইটভাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও লাইসেন্স যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।তারা আরও বলেন, এখনই যদি ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে ঋণ পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার কাঁচামাল নষ্ট হবে। এতে গ্রামের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে এবং তাদের জীবন-জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বহু বছর ধরে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এই শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে সামাজিক অস্থিরতাও সৃষ্টি হতে পারে।

আত্রাই ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিয়ামতলী বাবু বলেন,"আমরা সরকারের সব আইন মেনে ইটভাটা পরিচালনায় বদ্ধপরিকর। কোনো ইটভাটা নিয়ম অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তবে ঢালাওভাবে ইটভাটা বন্ধ করা হলে হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। আমরা চাই সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে চলতি মৌসুমে ইটভাটা চালুর অনুমতি দিক।"এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি মীর সামসুল হুদা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মমিনুল মিঠু, সদস্য মো. নাজমুজ্জামান ভূট্র, সদস্য শহিদুল ইসলাম শহিদ প্রমুখ।

বসুন্দিয়ায় জামায়াতের আঞ্চলিক কর্মী সমাবেশে অধ্যাপক গোলাম রছুল

বসুন্দিয়ায় জামায়াতের আঞ্চলিক কর্মী সমাবেশে   অধ্যাপক গোলাম রছুল


মোঃ  মুরাদ  হোসেন বসুন্দিয়া (যশোর) প্রতিনিধি
:যশোর সদরের সিঙ্গিয়া আদর্শ কলেজ মাঠে সোমবার ১০ নভেম্বর বিকাল তিনটায় জামায়াতে ইসলামীর আঞ্চলিক কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে  বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়া নির্বাচনী এলাকা যশোর-৪ সংসদীয় আসনে বসুন্দিয়ার পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের সমন্বয়ে এই আঞ্চলিক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংস্কার, গণহত্যার বিচার সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া জরুরী উল্লেখ করে বক্তাগণ বলেন কোন কিছু শক্তির মহড়া, কেন্দ্রীয় দখলের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবেনা। আগামীর বাংলাদেশে হবে ইসলামের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ হবে সুশাসনের বাংলাদেশ। সংসদে আল্লাহর বিধানের বাস্তবায়ন ছাড়া এদেশে শান্তি এবং দেশের সমৃদ্ধি সম্ভব নয়, এই লক্ষ্যে সকল কর্মীদেরকে সোচ্চার ও সক্রিয়ভাবে কাজ করে যেতে হবে।

কর্মী সমাবেশ প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর-৪ সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত ও জামায়াতের যশোর জেলার আমীর অধ্যাপক গোলাম রছুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন  যশোর সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আশরাফ আলী, সদর উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সদর থানার সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুর রহমান, সদর উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান খন্দকার দাউদ ইকবাল, আলহাজ্ব আবু বক্কর খান। বসুন্দিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সহ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা তৌহিদুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বসুন্দিয়া মোড় বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী বিশ্বাস, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম,   ১নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, কর্মপরিষ সদস্য মোঃ ইউসুফ আলী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ নুরুন্নবী,  কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন বসুন্দিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

স্মৃতির ডাকবাক্স: প্রযুক্তির যুগে আত্রাইয়ে চিঠির অপেক্ষা শেষ

স্মৃতির ডাকবাক্স: প্রযুক্তির যুগে আত্রাইয়ে চিঠির অপেক্ষা শেষ


মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ "নাই টেলিফোন, নাই রে পিয়ন, নাই রে টেলিগ্রাম"—গানের এই লাইন একসময় ছিল জীবনের বাস্তব চিত্র। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মানুষের সেই চিঠির অপেক্ষা এখন শুধুই স্মৃতি। একসময় প্রিয়জনের খোঁজে ডাকপিয়নের পথ চেয়ে থাকত মানুষ, আজ সেই দৃশ্য মুছে গেছে প্রযুক্তির স্রোতে।

তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ডাকঘরের প্রয়োজনীয়তা প্রায় হারিয়ে গেছে। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ আর ইমেইল দখল করেছে একসময়কার হলুদ খামে মোড়ানো আবেগঘন চিঠির জায়গা। ফলে আত্রাই উপজেলা ডাকঘরসহ ২৪টি শাখা ডাকঘরে আর আগের মতো কর্মচাঞ্চল্য নেই। অনেক জায়গায় লাল ডাকবাক্স এখন ধুলাবালিতে ঢাকা বা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

সিংসাড়া শাখার পোস্টমাস্টার মো. আব্দুল লতিফ বলেন, "সপ্তাহে কিছু সরকারি চিঠি এলেও ব্যক্তিগত চিঠি এখন প্রায় শূন্য।" একই কথা জানান নন্দনালী ডাকঘরের মো. ইকবাল সরদার, পাইকড়া ডাকঘরের শ্রী সঞ্জয় কুমার, হাট মোজাহারগঞ্জের মো. মহাসিন আলী ও মিরাটের মো. ফিরোজ শাহ। তাদের ভাষায়, "মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা সম্মানীতে সংসার চালানো কঠিন, তাই অন্য কাজও করতে হয়।"গীতিকার ও সাহিত্যিক সালেকুল ইসলাম বলেন, "প্রযুক্তি আমাদের আবেগ কেড়ে নিয়েছে। চিঠির সেই সুবাস, সেই ভালোবাসা এখনকার বার্তায় পাওয়া যায় না। মায়ের অপেক্ষা বা প্রেয়সীর গোলাপসহ পাঠানো চিঠিগুলো এখন কেবলই গল্প।"

তবে পরিবর্তনের স্রোতে টিকে থাকতে ডাক বিভাগও এখন ডিজিটাল হচ্ছে। উপজেলা পোস্টমাস্টার মো. জালাল উদ্দিন জানান, "একসময় প্রতিদিন শত শত চিঠি আর লাখ টাকার লেনদেন হতো। এখন ব্যক্তিগত চিঠি হাতে গোনা, তবে আমরা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোচ্ছি। নগদসহ নানা ডিজিটাল সেবা চালু হয়েছে—মাত্র ৫ টাকায় ১ হাজার টাকা পাঠানো যায়, জীবন বীমা সুবিধাও রয়েছে।" প্রযুক্তির অগ্রগতিতে চিঠির দিন ফুরিয়েছে বটে, কিন্তু সেই লাল ডাকবাক্স আজও জাগিয়ে রাখে এক যুগের মধুর স্মৃতি।