কপোতাক্ষ নিউজে খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। অতিস্বত্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করুন।

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে সব মানুষের মানবতার রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে সব মানুষের মানবতার রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা

Date: 22-12-2025

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে সব মানুষের মানবতার রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা



এয়োদশ রাষ্ট্রীয় সংসদ নির্বাচনে মানবতার রাজনীতির প্রবর্তক আল্লামা ইমাম হায়াত প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী শেখ রায়হান রাহবার ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা।

 

২২শে ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ-১ ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ জেলা‌ শাখা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর খাঁন দিপুনসানিয়াত বিপ্লব,বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান - আল্লামা ইমাম হায়াতের বক্তব্য তুলে ধরে ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর খাঁন দিপু,বলেন, "ভোটের মাধ্যমেও লুটেরা জালিম আসে, সেটার কারণ মানবতার রাজনীতির শূন্যতা, সমাধান রাজনীতির সংস্কার", ।

ইমাম হায়াত বলেন, 'আমি মানুষ হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধনীতিকে, বস্তুবাদকে, অধর্ম ও উগ্রবাদকে ভোট দিতে পারি না। ইনসানিয়াতকে ভোট দেয়া আল্লাহ ও রসুলের পক্ষে থাকা। ইনসানিয়াতকে ভোট দেয়া মানে কারবালার পক্ষে ভোট দেয়া। সব মানুষকে ও দিনকে রক্ষা করার পক্ষে ভোট দেয়া। নিজের জীবনের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করা। ইনসানিয়াতকে ভোট দেয়া মানে নিজেকে রক্ষা করা।'

 

তিনি বলেন, 'মানবতার রাষ্ট্র মানবতার দুনিয়ার পক্ষে মানবতার রাজনীতি গ্রহণ করতে হবে। মানবতার রাজনীতি ছাড়া মানব জীবনে আর কোনো বৈধ রাজনীতি নেই। কল্যাণের রাজনীতি নেই। অধিকার ও স্বাধীনতার রাজনীতি নেই। মানবতার রাজনীতি ছাড়া সব রাজনীতি জীবন ও স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার, অধিকার হরণ করার, লুটতরাজের, খুন-জুলুমের, মিথ্যা ও বাহবার রাজনীতি। আমরা সেগুলোকে সমর্থন করতে পারি না।'

 

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এর আগে সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকেই সমাবেশ স্থলে বিপুলসংখ্যক নারী পুরুষসহ কেন্দ্রীয় এবং জেলা ইনসানিয়াত বিপ্লবের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আপেল মার্কায় ভোট দিয়ে সব মানুষের মানবতার রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে এক হয়ে কাজ করার অংগিকারে এলাকাবাসীর পক্ষথেকে দেশের সবাইকে মানবতার ডাকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।

 

 

নিবেদকঃ

সাগর খাঁন দিপু

সাংগঠনিক সম্পাদক, ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ।

বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব, World humanity revolution.

 


বার্তা বাহক

মঈনউদ্দিন, ০১৭১৪৪০৭৫৩৩

News

News

আত্রাইয়ে ইটের সোলিং রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন


মোঃ ফিরোজ আহমেদ 
রাজশাহী ব্যুরো

নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের সিংসাড়া মধ্য পাড়ায় ইটের সোলিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। 

গতকাল (২২ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় পথচারীদের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি কমাতে আহসানগঞ্জ ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের অর্থায়নে এই কাজ শুরু হয়।

ইটের সোলিং রাস্তার কাজের শুভ উদ্বোধন করেন আহসানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি  এস এম মুঞ্জুরুল আলম মুঞ্জু। 

এ-সময় আরো উপস্থিত ছিলেন,
আহসানগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মো.সাহাদৎ হোসেন রকেট,উপজেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক মো.শাহিন আকতার হামিদ,উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক কে এম আয়ূব আলী। ইউপি সদস্য মো.আব্দুর রহমান,সাবেক ইউপি সদস্য মো.বেশারতুল্যা দেওয়ান,আলহাজ্ব মো.আব্দুল মালেক মোল্লা সহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে আহসানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষরে চেয়ারম্যান এস এম মুঞ্জুরুল আলম মুঞ্জু বলেন, 'চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। রাস্তা, কালভার্ট নির্মাণ থেকে শুরু করে হাট-বাজারের উন্নয়ন—সবক্ষেত্রেই পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। তারই অংশ হিসেবে ইটের সোলিং রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতেও এর ধারাবাহিতা অব্যাহত থাকবে।'

রাজশাহীতে পাখি শিকার রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচী ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে পাখি শিকার রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচী ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ পাখি শিকারীদের সামাজিকভাবে প্রতিহত করার আহবান রাজশাহীতে দেশীয় ও অতিথি পাখি শিকারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের আয়োজনে অদ্য শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় পদ্মার তীরবর্তী টি-বাঁধ’ ও পাশর্^বর্তী শ্রীরামপুর এলাকায় পালিত হয় উক্ত সচেতনতামূলক কর্মসূচীটি। এতে রাজশাহীর পরিবেশবাদী 

সংগঠনসমূহের স্বেচ্ছাসেবীগণ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে পদ্মাপাড়ের পাশর্^বর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে পাখি শিকার রোধে সচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়। উল্লেখ্য, শীতের আগমনে রাজশাহীতে পদ্মার চরসহ বিভিন্ন এলাকায় আসে অনেক অতিথি পাখি। সেই সাথে রয়েছে অনেক দেশীয় পাখি। একশ্রেণীর অসাধু মানুষ বিষটোপ ও কারেন্ট জাল দিয়ে হত্যা/শিকার করছে এসব পাখি। পরবর্তীতে তা হাঁসের মাংস বলে রাজশাহীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করা হয়। এতে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, অপরদিকে এসব মৃত পাখির বিষাক্ত মাংস খেয়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বার্ড-ফ্লু সহ অন্যান্য বিভিন্ন জটিল রোগে। এর প্রেক্ষিতে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টির লক্ষ্যেই আয়োজন করা হয় উক্ত কর্মসূচীর।

উক্ত কর্মসূচী শেষে কাজীহাটায় অবস্থিত রাজশাহী মিশন হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে ‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে করণীয়’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক প্রকে․শলী জুনায়েদ আহমেদ এর পরিচালনায় এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার, রাজশাহী মিশন হাসপাতালের সিইও প্রদীপ চাঁদ মন্ডল এবং বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক মোঃ হাসান আকতার। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ 

ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বিকে দাম।অনুষ্ঠানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির গুরুত্ব তুলে ধরে তা সংরক্ষণে সকলের করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, পাখি পরিবেশের খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্যজাল রক্ষা তথা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, ইঁদুর ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ সূচক বা বায়োলজিক্যাল ইন্ডিকেটর হিসেবে কাজ করে। ফুলের পরাগায়নে পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। পাখি উদ্ভিদের বীজ বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে; কিছু গাছের (বট, পাকুড়, ডুমুর ইত্যাদি) বীজ সহজেই পাখির পরিপাকতন্ত্রের সহায়তায় জন্মায়। 

পাখিরা (শকুন, কাক, চিল ইত্যাদি) প্রকৃতির ঝাড়–দার হিসেবে কাজ করে; এরা নোংরা-আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন করে। এছাড়া পাখিদের নান্দনিক সৌন্দর্য অপরিসীম, এদের দর্শনে যেকোন দর্শনার্থীর মন ভাল হয়ে যায়। এসব থেকে বোঝা যায়, পাখি প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি; এদের সংরক্ষণ করা আপনার-আমার সকলের নৈতিক দায়িত্ব। সেই সাথে সামাজিকভাবে পাখি শিকারীদের প্রতিহত করার আহবান জানানো হয় উক্ত কর্মসূচী থেকে। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফাহাদ ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রমজান আলী সরকার এবং আজীবন সদস্য ডা. মোঃ মনিরুল হক, জয়ন্ত কুমার সরকার ও তহসিনুর রহমান রেজা সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ। 

কেশবপুর সরিষার চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

কেশবপুর সরিষার চাষের  লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

কেশবপুর( যশোর) উপজেলার ভালুকঘর গ্রামের একটি সরিষার প্রদর্শনী ক্ষেত । 
কেশবপুর  (যশোর)সংবাদদাতা : কেশবপুর উপজেলার বিস্তৃত ফসলের মাঠ জুড়ে হলুদের সমারোহ। শীতের সকালে কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো সোনালী রোদের উষ্ণতায় মৌমাছিরা মধু আহরণে গুঞ্জন তুলছে সরিষা খেতে। সরিষা ফুলের গন্ধে বিভোর সারামাঠ। সয়াবিন ছেড়ে এ উপজেলার মানুষ সরিষার তেলের দিকে ঝুঁকে পড়ায় জনপ্রিয়তা বেড়েছে সরিষার তেলের। সরিষার বাজার দর ও ফলন ভালো হওয়ার আশায় প্রহার গুনছে কৃষকরা।  
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর সরকারিভাবে এ উপজেলায় ২ হাজার ১ শত জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমি। কিন্তু এ উপজেলার মানুষ সয়াবিন ছেড়ে সরিষার তেলে ঝুঁকে পড়ায় সরিষার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকও ভালো দামের আশায় বিনা চাষে সরষিা আবাদের পাশাপাশি চাষ দিয়েও সরিষার আবাদ করেছেন। যে কারণে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫০৫ হেক্টর জমি বেশি। কৃষকরা জানায়, চলতি আমান মওসুমে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগাম ভারী বৃষ্টিপাত হয়। যে কারণে অধিকাংশ নিন্মাঞ্চলের বিলে এবার আমন ধান আবাদ হয়নি। কিন্তু মৌসুমী বায়ুর শেষদিকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বিলগুলো পানি শূন্য হয়ে পড়ে। বোরো আবাদের আগেই এসব জমিতে কৃষকরা বিনাচাষে সরিষার আবাদ করেন। আবার উঁচু জমির কৃষকরা চাষ দিয়ে সরিষার আবাদ করেন। যে কারণে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। 
সরিষার বিভিন্ন জাতের মধ্যে এবার মাঠে বারি সরিষা- ৯, বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-১৮, বীনা সরিষা-৯ ও টরি -৭ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান জানান, তারা প্রতিবছর সরিষার চাষ করে থাকেন। আবাহাওয় ভালো থাকায় এবছর সরিষার ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে। প্রতি বিঘায় ১৫থেকে ২০ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করা যাবে বলে তারা আশাবাদী। সরিষার বাজার দামও বেশি এজন্য তারা খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, সরিষার আবাদ বাড়াতে এবছর সরকারিভাবে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন। সরিষার বাজার দরও  ভালো। 

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী যশোর -৬ কেশবপুর নির্বাহী অফিসারের কায্যালয় থেকে মানপত্র সংগ্রহ করেছেন

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী যশোর -৬ কেশবপুর নির্বাহী অফিসারের কায্যালয় থেকে মানপত্র সংগ্রহ করেছেন

কেশবপুর যশোর সংবাদদাতা : কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কায্যালয় থেকে  মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন যশোর ৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী অধ্যাপক মুক্তার আলীর পক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেশবপুর উপজেলার শাখার নেতৃবৃন্দু।বুধবার মনোনয়ন সংগ্রহের সময উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেশবপুর উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি   প্রভাষক  তবিবুর রহমান, কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক প্রভাষক তাজাম্মুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবির খুলনা মহানগরীর সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ। জনাব সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একটি দুষ্ট  নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জামায়াতে ইসলামী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক কার্য্যকরিয়া ক্রম আব্যাহত রাখবে।

যশোরের কেশবপুরে ২৮০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ ভাগ্য বদলের স্বপ্নে চাষীরা

যশোরের কেশবপুরে ২৮০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ ভাগ্য বদলের স্বপ্নে চাষীরা
কেশবপুরে উপজেলার ভলুকঘর গ্রামের আব্দুল জলিলের প্রদর্শনী তুলা খেত।
মোল্যা আব্দুস সাত্তার, কেশবপুর (যশোর)থেকেঃ  বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোরের পৃষ্টপোষকতায় ও উপজেল তুলা উন্নয়ন বোর্ডের  প্রযুক্তিগত নানা মুখী সহযোগিতায় যশোরের কেশবপুরে তুলার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। 
তুল চাষে খরচের তুলনায় লাভ বেশী হওয়া এবং অনাবাদি পতিত জমিতে চাষ করার সুবিধা থাকায় দিনে দিনে এ উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা তুলা চাষের প্রতি ঝুকে পড়ছে। তুলা চাষে কৃষকদের আরো বেশীে আগ্রহী করে তুলতে চলতি বছরে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ১৫ জন কৃষককে প্রদর্শনী প্লট ও ২২০ জন  প্রনোদনা প্যাকেজের আওতায় এনেছে।আর এই প্রণোদনা আওতায় এসব চাষীর মাঝে তুলা বীজ, সার, কীটনাশক সহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বিনা সুদে আগ্রহী চাষীদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন। যার ফলে কেশবপুরে ব্যাপকহারে তুলার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেশবপুর ও যশোর জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড অফিস সুত্রে জানাগেছে, সরকারি ভাবে তুলা চাষের কোন লক্ষ্যমাত্র না থাকলেও জেলা ও উপজেলা ব্যাপী তুলার আবাদ বৃদ্ধি করতে তুলা উন্নয়ন বোর্ড  নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে প্রতি বছরই কেশবপুরে তুলার আবাদ বাড়ছে। অফিস সুত্রে জানাগেছে, এ উপজেলায় ২০২৩ সালে ২৩৩ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪০হেক্টরে। চলতি বছরে ২০২৫ সালে চাষের পরিমাণ বেড়ে  ২৮০ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়েছে। যা গত তিন বচরের তুলনায় ৪৭ হেক্টর জমিতে আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তুলা লাভজনক ফসল হওয়ায় এর আবাদ বাড়ছে ।জাহানপুর তুলা চাষী শামসুদ্দিন দফাদার বলেন, তুলা চাষে লাভ বেশি বিক্রি হয় নগদ টাকায় তাই তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন বিগত ১০ বছর যাবত তিনি তোলা চাষ করে আসছেন। সাতবাড়িয়া গ্রামের তুলা চাষী অশোক বাবু বলেন প্রতিবছর আমি তুলা চাষ করে থাকি এবছরও ৫বিঘা জমিতে চাষকরেছি। আশা করছি ৪ লক্ষ টাকার তুল বিক্রি করতে পারব।তুলা অফিস কেশবপুর সার্বিক সহযোগিতা ও সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। মির্জানগর গ্রামের চাষী তছির উদ্দিন বলেন তুলার ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক ভাল হওয়ার আশা করছি। কেশবপুর তুলা অফিসের মাধ্যমে আমাদের বীজ, সার ও কীটনাশক  দেওয়া হয়েছে। ১০ বছর তুলার চাষ করছি অন্যান্ন ফসলের চেয়ে বেশী লাভ পেয়েছি, সে জন্য এবার আমি ৮৪ শতাংশ জমিতে তুলা আবাদ করেছি। গাছ ভাল হয়েছে, আবহায়া ভাল থাকলে ভাল ফলনে আশা করছি।
উপজেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কোহিনুর রহমান বলেন, ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে সব মিলিয়ে চাষীর খরচ হয় ১৫ হাজার থেকে ১৮হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ফলন হয় ১৮ থেকে ২০ মণ। প্রতি মণ তুলা বিক্রি হয় ৩৯০০টাকা থেকে ৪ হাজার  টাকা। খরচ বাদে ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করে কৃষকের লাভ হয় ৫০ থেকে ৬০হাজার টাকা।আবহাওয় অনুকুলে থাকায় এবার তুলার ফলন অন্যান্ন বছরের তুলনায় ভাল হবেবলে আশাদী।
এবিষয়ে যশোর জেলা প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তুলার আবাদ বৃদ্ধিতে আমরা কয়েকটি জেলার ১৮টি ইউনিনট নিয়ে কাজ করছি। তার মধ্যে কেশবপুর উপজেলা অন্যতম। অন্যান্য ফসলের চেয়ে তুলা চাষে খরচ কম ও লাভ বেশী পাওয়া যায়। তাছাড়া পতিত জমিতে তুলার আবাদ ভাল হয় এসব বিষয় গুলো কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং ভাল ফলাফল পাচ্ছি।

কেশবপুরে শীতের আগমনীতে কুমড়া বড়ি দিতে ব্যস্ত গৃহিণীরা

কেশবপুরে শীতের আগমনীতে কুমড়া বড়ি দিতে ব্যস্ত গৃহিণীরা

কুমড়া বড়ির কাজে ব্যস্ত গৃহিণী রা

মোল্লা আব্দুস সাত্তার কেশবপুর যশোর:- শীতকালের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সুস্বাদু ও পরিচিতি খাবার কুমড়া বড়ি। তরকারির সাথে এই কুমড়া বড়ি রান্না করে খাওয়ার প্রচলন বহু বছরের। শীতের মৌসুম এলেই কেশবপুরের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে শুরু হয় কুমড়া বড়ি তৈরি করার মহা উৎসব। শীতকালে দেখা যায় প্রতিটা বাড়িতেই মাশ কলাই এর ডালের সাথে চাল কুমড়া দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে বড়ি তৈরি করা হয়। শীতের সন্ধায় শুরুহয় বড়ি তৈরীর প্রথম কাজ। কলাই ভিজানো কুমড়া কেরানো পানি ঝরানো সহ ননান প্রক্রিয়া। এরপর কাক ডাকা ভোরে মহিলারা কলাইয়ের সাথে কুমড়া মিশায়ে ঢেকি অথবা মেশিনের সাহায্যে পিষে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় খামি। কুমড়ার এই খামি কেউ কেউ নিজেরা কেউবা পাড়ার সবায় মিলে একসাথে তৈরী করে সুস্বাদু কুমড়ার বড়ি।  
কুমড়ার বড়ি তৈরির প্রধান উপকরণ মাশকলাইয়ের ডাল আর চাল কুমড়া।বাজারে ১কেজি মাশ কলাই ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা আর চাল কুমড়া কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় চাল কুমড়া প্রতি পিস ৮০  থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।  এক সময় কুমড়ার খামি তৈরি করা হতো ঢেঁকি বা শিলবাটায় এখন আধুনিকতার ছোয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মেশিনের মাধ্যমে কুমড়ার মিশ্রণ তৈরি করা হয়। মাঠ, বাড়ি রাঙ্গিনা, বা খোলা জায়গায়, ঘরের ছাদে যেখানে সূর্যের তাপ বেশি থাকে সেখানেই ভোর থেকে শুরু হয় বড়ি বসানোর কাজ।বড়ি বসানোর পর দুই তিন দিন টানা রোদে শুকানো হয় কোন কোন ক্ষেত্রে ৫-৬ দিনও রোদ্রে শুকানো হয়। এরপর ঘরের বিভিন্ন পাত্রে সংরক্ষণ করা হয় যা বছরের ১২ মাসে খাদ্যের সাথে ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে এই কুমড়ার বড়ি তৈরি ও বিক্রি করে থাকেন। 
উপজেলার কাঁস্তা গ্রামের গৃহিণী আমেনা বেগম বলেন কুমড়া বড়ি দেওয়াবিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে উপঢৌকন হিসাবে পাঠানো হয় এ যেন আত্মীয়তার একটা সেতু বন্ধনের মাধ্যম।  গৃহিণীদের জন্য শীতকালীন একটা যেন রুটিন মাফিক কাজ। শীতকালে বিভিন্ন সবজির সাথে রান্না করা এ বড়ি যেন অনন্য সাধ বয়ে আনে। বড়ি ছাড়া যেন কিছু সবজির সাধ আশেনা। উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের হালিমা বেগম বলেন কুমড়ার বড়ি শীতকালে না দিতে পারলে যেন মনটা ভালো থাকে না কারণ মাছ গোস্ত না থাকলে সবজির সঙ্গে বড়ি সাধযেন তুলনা হীন। কেশবপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী অলক সাহা বলেন এবার মাসকলায়ের চাহিদা অনেক বেশি দামও নাগালের মধ্যে থাকায় বিক্রিয় বেশি হচ্ছে।