মোঃনাইম শেখ, সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি
আমাদের দেশে এই ঈদকে কুরবানির ঈদ বলা হয়।
কুরবানী ঈদ মানেই ত্যাগের ঈদ৷ ত্যাগের কথা মনে পড়লেই সবার আগেই প্রবাসীদের ত্যাগের কথা মনে পড়ে যায়। ত্যাগের ক্ষেত্রে প্রবাসীরাই এগিয়ে৷
সংসারের মায়া, মা-বাবার মায়া,ভাই-বোনের ভালবাসা,সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর ভালবাসা,সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের ভালবাসা ত্যাগ করে প্রবাসে চাপা কষ্ট নিয়ে পড়ে থাকাটা কম কষ্টের নয়৷ এতো বিশাল ত্যাগ৷ তারা নিজেদের সুখ, ভালবাসা ত্যাগ করে সর্বদা মুখে হাসি ফুটিয়ে মিথ্যা সুখে থাকার অভিনয় করে যায়।
দুইদিন আগে এক বড় ভাইকে বললাম, ভাই চলেন আমরা ঈদের জন্য কিছু কেনাকাটা করি। ভাই মলিন মুখে বললেন, নারে ভাই আমার কিছু কেনা লাগবে না৷ যে বেতন পেয়েছি হিসেবে করি দেখি তা বাড়ির জন্য যথেষ্ট না৷ নিজের জন্য কিছু কিনলে তো বাড়ির লোক না খেয়ে থাকবে । তারা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে৷ ঈদের সময় তারা যখন হাসিমুখে ছবি তুলে পাঠায় তখনই আমি ঈদের আনন্দ পাই। তাদের মলিন মুখ দেখে আমি কিভাবে এখানে কেনাকাটা করি৷
ভাইয়ের কথা শুনে উপলব্ধি করলাম শুধু সে না। নব্বই ভাগ প্রবাসী নিজেদের কষ্ট গুলো লুকিয়ে পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফুটিয়ে যায়৷ একটা গানে শুনেছিলাম, তারা শুধু দিতে জানে নিতে জানে না। আর দেওয়ার অপর নামই তো ত্যাগ৷ প্রবাসীদের চেয়ে কে এমন যে বেশী ত্যাগ স্বীকার করে৷
আর কুরবানীর ঈদ সবাই কুরবানীর পশু কেনায় ব্যস্ত৷ কিন্তু ক'জন আছে যে মনের পশুত্ব কুরবানী করবে৷ আমার মতে পশু কুরবানীর চেয়ে মনের পশুত্বও কুরবানী করতে হবে। তাহলেই সমাজে শান্তি ফিরে আসবে৷
সকল প্রবাসীদের ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক৷
