আশাশুনিতে কূকীর্তি প্রকাশ করায় সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম




আহসান উল্লাহ বানলু, উপজেলা  প্রতিনিধিঃআশাশুনিতে জন প্রতিনিধি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে একের পর এক নির্মমভাবে মারধরের শিকার হয়েছেন সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম, স্থানীয় শুকুর আলীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। মামলা করলেও এখনো কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় একের পর এক হুমকীধামকী ও হামলার শিকার পরিবারগুলো প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 


থানায় দায়েরকৃত মামলা, অভিযোগ ও জিডি সূত্রে প্রকাশ, দরগাহপুর ইউপি মেম্বার রামনগর গ্রামের মৃত স্বরূপ গাজীরপুত্র মুজিবর এবং তার সহযোগিরা এলাকায় দীর্ঘদিন নিরীহ মানুষদেরকে মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানী করে আসছেন। জমিজমার বিরোধের শত্রুতায় তারা মৃত নছিমুদ্দীন গাজীর পুত্র শুকুর আলী দিংকে হয়রানী ও জীবন নাশের হুমকী দিয়ে আসছিল। ১০ মে তারা দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শুকুরদের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে শুকরকে বেদম মারপিট করে। ঠেকাতে গেলে তার বোন নাছিমা, চাচাত ভাই লিয়াকত ও ভাগ্নে রুবেলকেও বিদম মারপিট, হত্যার চেষ্টা, শ্লীলতাহানি, ভাংচুর, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটপাট করে। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২৩ মে মামলা (নং ১০) রুজু করা হয়। এরপর থেকে তারা দায়েরকৃত মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকীধামকী ও ক্ষয়ক্ষতি করতে থাকে। মামলা তুলে না নেওয়ায় ৭ জুন তারা শুকুরের মৎস্য ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে অনুঃ লক্ষ টাকার মাছ ভাসিয়ে দেয়। বাধা দিতে গেলে তাকে আবারও মারপিট করে জখম করা হয়। এব্যাপারে ১০ জুন ইউপি সদস্য মুজিবরসহ ৪ জনের নামে থানায় সাধারণ ডায়রী (নং ৩৯৭) করা হয়। আসামীরা গ্রেফতার এড়িয়ে বহাল তবিয়তে এলাকায় থেকে দাপটের সাথে বাদী পক্ষ ও স্বাক্ষীদের উপর খুনজখমের হুমকী অব্যাহত রাখে। এমনকি মেম্বার মুজিবুরের কূকীর্তি পত্রপত্রিকায় প্রকাশের অপরাধে স্থানীয় সাংবাদিক সাইদুল ইসলামকে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টার দিকে আসামীরা রামনগর বাজারে ফিল্টারের পাশে আটকে লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে নাকে, মাথায়, হাতে মারপিট করে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। তার হাতের আঙ্গুল ও মুখের দাঁত ভেঙ্গে যায়। গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস আটকে হত্যার চেষ্টা করে। তার কাছে থাকা অপো টার্চ মোবাইল, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে। স্বাক্ষীরা উপস্থিত হলে খবর প্রকাশের মজা দেখান হবে বলে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে কেটে পড়ে। তাকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে ৭ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া গ্রামের কামাল হুসাইন, স্বপন কুমার ঘোষাল তাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি ও অভিযোগ করেছেন। বহু নির্যাতিত মানুষ তাদের দুর্দান্ত বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে শাহস পাচ্ছেনা। এব্যাপারে আসামী ও অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন ও আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বাদীপক্ষ ও এলাকার ভুক্তভোগিরা জোর দাবী জানিয়েছেন। সাথে সাথে অসহায় মানুষদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।


সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ