লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার পূর্ব সিংহগ্রামে রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশা মিয়াকে ঘটনাস্থলে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। তারপর তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অন্য অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার ভিংরাজ মিয়া এসময় পালিয়ে যায়। এদিকে অভিযোগকারী গৃহবধূকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একই সাথে লাখাই থানায় করাব ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ভিংরাজ মিয়া ও বাদশা মিয়াকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অজয় চন্দ দেব ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদশা মিয়া ও ভিংরাজ নামে দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বাদশা মিয়া নামে এক অভিযুক্তকে আটক করার পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্য আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে অভিযোগকারী নারী জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের পেছনে যান। এই সুযোগে একই গ্রামের বাদশা মিয়া ও ভিংরাজ মিয়া মেম্বার গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। তারপর গৃহবধু ঘরে ফিরে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর বাদশা ও ভিংরাজ গৃহবধুকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে গৃহবধুর শোর চিৎকারে
আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় লোকজন বাদশা মিয়াকে ধরতে পারলেও ভিংরাজ মিয়া পালিয়ে যান পরে বাদশাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে লাখাই থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
তিনি আরো জানান, তারা দুজনে বিভিন্ন অজুহাতে ঘরে আসেতেন। তাকে সরকারি সাহায্য দেয়ার প্রলোভন দেখায় তারা এতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয় এর কিছুদিন পর তার
স্বামীর ঠিকানা ব্যবহার করে ৭ জানুয়ারি ১৩নং এফিডেভিটে একটি ভুয়া তালাকনামা দেখায় তারা। কিন্তু ওই গৃহবধু বাদশা ও ভিংরাজের কুপরিকল্পনা বুঝতে পারেননি। যে কারণে তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ বেড়ে যায়। এই সুযোগে মেম্বার ভিংরাজ মিয়া ওই গৃহবধুকে সিলেটের ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজে ভাল বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখান।
গত ৩১ আগস্ট ভিংরাজ মিয়া তাকে নিয়ে সিলেটে ঘুরাফেরার পর পশ্চিম দরগা গেটের কাছে অবস্থিত হোটেল হলিল্যান্ডের একটি কামরায় তুলেন। এসময় ভিংরাজ মিয়া ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ওই গৃহবধুর চিৎকারে আশপাশের রুম থেকে মানুষ এসে ভিংরাজ মিয়াকে আটক করে সিলেটের কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন পরে পুলিশ লিখিত রেখে তাকে ছেড়ে দেয়।
