খুলনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমএ বারী সড়ক মেরামত




তুহিন রানা (আব্রাহাম) খুলনা নগর প্রতিনিধিঃখুলনা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন ও বিসমিল্লাহ প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সড়কটি মেরামত করান।

শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন বলেন, সরকারিভাবে একটি সড়ক নতুন করে করতে গেলে অনেক সময় লাগে। অনেক প্রক্রিয়ার ব্যাপারও রয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় সে জন্য আমরা সড়কটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংস্কার করে দিয়েছি।

মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছিল। বর্ষার কাদাপানি জমে গর্ত ও খানাখন্দ দিন দিন বড় হচ্ছিল। এই রাস্তাটি নিয়ে বিপাকে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাদা জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাচলও বিপদজ্জনক হয়ে পড়ে, যা প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করছে জনদুর্ভোগের। বুধবার সকালেও এ সড়ক দিয়ে যেতে গিয়ে একটি ইজিবাইক উল্টে যায়। এক নারী ও তার শিশুর পা ভেঙ্গে গেছে। যে কারণে জনসাধারণের স্বার্থে সড়কটিতে ইট ও বালু দিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।

জানা যায়, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিন্যাল সংলগ্ন বাইবাস সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালের ৩০ জুন। কাজ শেষ হওয়ার কিছু দিন পর খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও এলজিইডিকে সড়কটি হস্তান্তর করে কেডিএ (খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। সড়কটির মহানগরীর অংশ রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্বে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এবং বাকি অংশ এলজিইডি।এদিকে রাস্তাটি মেরামত করায় খুশি গাড়ির চালক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।এই সড়কের মাশাল্লাহ এন্টারপ্রাইজের মালিক বোরহান উদ্দিন জুয়েল বলেন,সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে জয়বাংলার মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কটি বৃষ্টিতে ডেবে গিয়ে মানুষ ও যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিলো। প্রতিদিন শত শত বাস, ট্রাক, ইজিবাইক, ব্যক্তিগত গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতাযায় করতো। সড়কটি আজ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংস্কার করার পর চলাচলের উপযোগী হলো।

সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যারা তাদেরকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।


সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ