কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি //
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হুগোলবাড়িয়া ইউনিয়নে কল্যাণপুর বাজার থেকে চড়দিয়াড় গ্রামের যাওয়ার সড়কে বিশু ড্রাইভার এর বাড়ির সামনে গত মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯ টার সময় মোটরসাইকেল ও স্টিয়ারিং গাড়ি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়, ফলে ঔ স্থানেই নিহত হয় একজন। নিহত মোটরসাইকেল চালক মরিচা ইউনিয়নের মাছদিয়াড় মুন্সি পাড়া গ্রামের মুনসাদ মুন্সির ছেলে তার নাম মামুন । স্টিয়ারিং গাড়ির হেলপার মসলেমপুর গ্রামের সাদ্দাকের ছেলে শাওন গুরুতর আহত হলে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হসপিটালে ভর্তি করেন।
জানা যায় চকদিয়ার থেকে দুজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে চলিয়ে আসছিলেন ইতিমধ্যে একটি ইট বোঝায় স্টারিং গাড়ি চালক নিজের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালককে গাড়ির নিচে ফেলে পিষ্ট করে পাশের খাদে পড়ে যায়। এবং ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল চালক মামুন ওই অবৈধ গাড়ির চাকার নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে মারা যান । স্টারিং গাড়ি চালক সাদিপুর গ্রামের শাকিল ঘটনা বুঝতে পেরে সাথে সাথে পালিয়ে যায়।
এদিকে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, অবৈধ স্টিয়ারিং গাড়ির কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে, কারণ এ ধরনের গাড়ি-ঘোড়া যারা চালাচ্ছে তাদের কোনো প্রকার কাগজপত্র বা কোন বৈধ লাইসেন্স বা অভিজ্ঞতা না থাকার কারণেই প্রতিনিয়ত ঘটছে এ ধরনের ঘটনা । এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা ওই স্থানে যেয়ে অনুসন্ধান করলে রেরিয়ে আসে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য এলাকা বাসী জানায় এই অবৈধ গাড়ির মালিক আল সালেহ লাইভ লাইন পাবলিক ওয়েলফেয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর , হুমায়ুন কবির ও প্রজেক্ট ম্যানেজার মামুনুর রশিদ । যদিও মালিকানার বিষয়টি গনমাধ্যমের কাছে অস্বীকার করে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা দুজন । এলাকা ঘুরে আরো জানা যায়, হুমায়ুন ও মামুনের এ ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও তাদের মাধ্যমে ঘটেছে এমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড,যেগুলো এলাকার বাসিন্দারা সবাই জানে। বেশ কিছু দিন আগে তাদের ইট ভাটার এলাকায় খেলতে খেলতে একটি শিশু চলে আসলে শিশুটি আর জীবন নিয়ে ফিরে যেতে পারেনি।পরে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয় ঔ ভাটার পুকুর থেকে। তারো আগে হুমায়ুন ও মামুনের অবৈধ গাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গিয়েছে একাধিক লোক যার কোনো বিচার হয়নি।স্থানীয় লোকজনের ধারণা হুমায়ুন ও মামুন কালো ক্ষমতার পাশাপাশি অনেক কালো টাকার মালিক হওয়ায় টাকার মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ধামাচাপা দিয়েছে সকল প্রকার হত্যাকান্ডের ঘটনা। আজ পর্যন্ত এসকল হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে হয়নি একটিও মামলা যেটা খুব দুঃখজনক। তবে এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কথা বললে তিনি জানান তারা খুব শীঘ্রই ইনভেস্টিগেশন করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তবে কিছুসংখ্যক এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান যখন এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তখন টাকার বিনিময় এই দুই কর্মকর্তা নিরীহ কোন মানুষকে দিয়ে দোষ স্বীকার করে নেয় নিজেরা রক্ষা পাওয়ার জন্য এবারও হয়তোবা তার ব্যতিক্রম হবে না।