প্রতিবন্ধীর জমিতে জোর পূর্বক বালু উত্তোলনে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির অভিযোগ


আহসান উল্লাহ বাবলু,আশাশুনি  সাতক্ষীরা    প্রতিনিধিঃআশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অবৈদ্ধ ভাবে ভুগর্বস্থ্য থেকে একটি পক্ষকে মাসোহারা দিয়ে অবৈদ্ধ ভাবে বালু উত্তোলনের মাহা উৎসব চলছে । বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন  কে  এলাকাবাসি অবহিত করে ও তাতে কোন লাভ হয়নি। অবশেষে জেলা প্রশাসকের নিকট ২ জন প্রতিবন্ধী প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে জানাগেছে নাসিমাবাদ গ্রামের মৃত ছমেদ আলী ফকিরের ছেলে প্রতিবন্ধী শাহাজান ফকির ও মাওলানা সামছুর রহমানের ছেলে প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান নাসিমাবাদ মৌজার এস এ ১৬৫ নং ক্ষতিয়ানের হাল ৩১৪,৩১৫ ও ৩১৬ দাগে ১ একর সমতল ভুমিতে দির্ঘ দিন মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ভেড়ি বাধ ভেঙ্গে শ্রীউলা ইউনিয়নটি ৬মাসের অধিক সময় প্লাবিত হয়ে আছে। এর মধ্যে দির্ঘ ৫ মাস যাবদ একটি পক্ষকে সপ্তাহিক মাসোহারা দিয়ে ঐ এলাকার বালু চোরা কারবারি হিজলীয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ সানার ছেলে ওমর ফারুক নাসিমাবাদ গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ,মৃত ধোনাই গাজীর ছেরে আব্দুল গপ্ফার ,হিজলীয়া গ্রামের আনার ঢালীর ছেলে ফজলে হক,কলিমাখালী গ্রামের মৃত নুর আলীর মোড়লের ছেলে শাহাজান,গফ্ফার গাজীর ছেলে সালাউদ্দীন বাবলু,শহিদ মোড়লের ছেলে ফারুক হোসেন,মাহমুদ মিস্ত্রির ছেলে মনিরুল সহ আরো অনেকে লোভ বা লাভের বর্ষবত্তী হয়ে প্রতিবন্ধী শাহাজান ইট ভাটার কাজে বাহিরে অবস্থান করায় শাহজান সহ এলাকার অসংখ মানুষের জমি থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সমতল ভুমি পুকুর তৈরী করে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন করেছে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে দির্ঘ ৬ মাস শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও রাস্থা ঘাট পানিতে ডুবে নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে । উল্লেখিত ব্যাক্তিরা গ্রাম রাস্থার পাস হইতে বালি উত্তোলন করায় মহা ঝুকিতে রয়েছে অসংখ্য ঘর বাড়ি ও রাস্থা ঘাট । যে কোন মুহুত্তে এলাকার মানুষের জানমালের ক্ষতির আশংকা করছে বলে জানাগেছে । এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজার সাথে কথা হলে তিনি বলেন কার অনুমতিতে বালু উত্তোলন করছে আমার জানা নাই। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে অব্যশই তাদেরকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। উক্ত বিষয় নিয়ে শ্রীউলা ইউনিয়ন ভ্থমি কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন বালু উত্তোলন করছে আমার জানা নাই। উল্লেখ্য শ্রীউলা ভুমি কর্মকর্তার নাকের ডগায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে আমার জানানাই এমন বক্তব্যবে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি তার এমন অসৌজন্যে মুলক বক্তব্যে হতবাক হয়ে পড়েছে। তারা বলছে শ্রীউলা ভ্থমি কর্মকর্তা কত টাকা মাসোহারা পেলে এমন বক্তব্য দেওয়া যায় মর্মে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উটেছে বলে জানাগেছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানগেছে ।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ