ঝিকরগাছার শংকপুরে মুক্তিযোদ্ধার পুকুরে বিষ প্রয়োগ, মাছ নিধন


আব্দুল জব্বার, স্টাফ রিপোর্টার।।যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুরের একটি পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধনের পাশাপাশি একটি গরুকে হত্যা করে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। 


মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের কুমরী গ্রামের, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের পুকুরে এ ঘটনা ঘটানো হয়। ওই মাছ চাষি আব্দুল হামিদের প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে মুক্তিযোদ্ধা  আব্দুল হামিদের মাঠে অবস্থিত আরেকটি মাছের ঘেরে একই ভাবে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি করে দুর্বৃত্তরা।


ক্ষতিগ্রস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ধার-দেনা করে নিজেদের প্রায় দুই বিঘা জলাকারের পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করেছিলাম। রেনু পোনা, খাদ্য ক্রয়সহ এ পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছি। আশা ছিল আর কিছুদিন পরে মাছ বিক্রির মাধ্যমে ২ লক্ষাধিক টাকা আসবে। কিন্ত মঙ্গলবার ভোরে দ্বিতীয় দফায় কে বা কারা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরের সব মাছ মেরে দিয়েছে। পুকুরের পাশে  গোয়াল ঘরে থাকা একটি গরু মেরে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। কে বা কারা এমন ক্ষতি করেছে তা আমি দেখিনি। তবে পুর্বে থেকে তার এলাকার বহিরাগত প্রতিবেশির সাথে দ্বন্দ চলছিলো। শত্রুতা বশত তারাই এমন ক্ষতি করতে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন। 

এ ব্যাপারে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান।


প্রতিবেশী কুমরী গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাস্টার আসাদুজ্জামান জানান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ তাদের গ্রামের মধ্যে একজন পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ। সেটা হওয়া সত্বেও একটি প্রভাবশালী কুচক্রি মহল সার্বক্ষণিক সামাজিক হেয় প্রতিপর্ন করার জন্য বিভিন্ন সময় আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে। তারই প্রতিফলন এটিই হতে পারে। এমন সহজ সরল মানুষের কেউ ক্ষতি করতে পারে এটা ভাবাও যায় না। পুকুরের মাছ দেখে এটা এক ধরনের নৃশংসতা মনে হয়েছে।

কুমরী গ্রামের সুশীল সমাজ মনে করছে আব্দুল হামিদ একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্বেও বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সুষ্ঠ বিচারের অভাবে অপরাধীরা অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে।এ কারণে এ ধরনের অপরাধ বেড়েই চলেছে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করতে পারলে, তারা আরও বড় ধরনের অপরাধ সংগঠিত করবে বলে আশঙ্কা করছে তারা।

বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার-ইন-চার্জ রিপন বালা বলেন, ‘গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধনের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে তদন্তের রিপোর্ট এখনো জানতে পারেনি।


সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ