দিনাজপুরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননার প্রতিবাদে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের প্রতিবাদ

দিনাজপুরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননার  প্রতিবাদে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের প্রতিবাদ

মামুনুর রশিদ,দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ দিনাজপুরে কুষ্টিয়ায়  বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননা করার প্রতিবাদে জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ আয়োজিত  জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান এই শিরোনামে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
 জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। 
দিনাজপুর প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলম এর সভাপতিত্বে জেলার বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তারা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন,  বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন তিনি ছিলেন আমাদের চেতনার নাম।  অকৃত্রিম দেশ প্রেম আর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে  পেরেছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী একজন মহাপুরুষ । তিনি দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে জীবনের বেশি সময় কারাভোগ করেছেন । তার এই ত্যাগের প্রতিদান আমরা কখনও দিতে পারবোনা । পাকিস্থানের কারাগারে যখন তাকে ফাঁসির মঞ্চ তৈরী করে বলা হল তোমাকে ফাঁসি দেওয়া হবে । ফাঁিসর মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন আমরা লাশটা তোমরা বাংলার মানুষের কাছে পাঠিয়ে দিও । ১৯৭২ সালের  ১০ জানুয়ারী তিনি দেশে ফিরে এসে তিনি নিজের পরিচয় এই ভাবে দেন আমি এজন বাঙ্গালী এবং আমি একজন মুসলমান। 
বক্তরা আরোও বলেন, ভাস্কার্যের  কাছে গিয়ে কেউ পুজা করে না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্যের প্রতি শ্রদ্ধা করে সম্মান দেখায়। পৃথিবীর অনেক উন্নত মুসলিম দেশে ভাস্কার্য রয়েছে। কিন্তু কৈ কেউ তো ভাস্কার্য নিয়ে কথা বলে না প্রতিবাদ করে না। সেই ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিরা একত্রিত হয়ে দেশের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে । 
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্য অবমাননা কারীদের হুশিয়ারী করে বক্তরা আরোও বলেন, এই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্য অবমাননা করে সমগ্র দেশের মানুষের অনুভতির জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। এই দৃস্কৃতিকারিদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি প্রদান করা হবে। তারা আরোও বলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যদি মুক্তিকামী মুক্তিযুদ্ধারা হেরে যেত তাহলে আজ আমরা কেউ ডিসি এসপি, জজ, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী হতে পারতাম না । ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দানকারী সেই ধর্মান্ধা, জ্ঞান পাপিদের সঠিক ভাবে জ্ঞানের চর্চা করার পরামর্শ প্রদান করেন ।  
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন  দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল আজিজ আহমদ ভূঁইয়া , দিনাজপুর পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বিপিএম পিপিএম বার, রংপুর বিভাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ আব্দুল আহাদ, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ পরিচালক ডাঃ নির্মল চন্দ্র পাল, দিনাজপুর সেটেলমেন্ট অফিসার শামসুল আযম, দিনাজপুর জেলা পরিষদের চিপ রশিদুল মান্নাফ কবির, দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আয়েজ উদ্দিন, গণপূর্ত নির্বাহী কর্মকর্তা কুতুব আল হুসাইন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল, দিনাজপুর সিটি কলেজ অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ