কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি //দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তের পাশ ঘেঁষে যে কয়েকটি ইউনিয়ন রয়েছে তার মধ্যে ৫ নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ অন্যতম।সীমান্তের পাশ ঘেঁষে অবস্থান নেয়ায় এবং এক-তৃতীয়াংশ চরাঞ্চলের মধ্যে থাকায় আর পাঁচটি ইউনিয়নের মত এই ইউনিয়নের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বা জীবন যাত্রার মান একটু ভিন্ন।বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে মাদকের অভয় অরণ্য হিসেবে এই ইউনিয়নটি বেশ পরিচিত ছিল। এই ইউনিয়নে রাত পোহালেই শোনা যেত মাদক কিংবা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের গল্প, খুন গুম কিংবা হাইজাকের মতো বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকতো এই ইউনিয়নের অনেকেই ।আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চরাঞ্চলের মানুষের প্রতি বিশেষ ভাবে নজর দেন,বিশেষ করে বর্তমান সাংসদ অ্যাডভোকেট সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারের এই নজর আরো বেগমান হয়। তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ব্যাপারে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন,রাস্তাঘাটের উন্নয়ন,চোরাচালান ও মাদক বন্ধের ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন। মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আনা , অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ সহযোগিতা প্রদান সহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে সর্বশেষ যে পদক্ষেপটি গ্রহণ করা হয় সেটি হচ্ছে চর অঞ্চলের মানুষের জন্য বিদ্যুতের আলো।৭৫ কুষ্টিয়া-১এর সাংসদ অ্যাডভোকেট সরওয়া জাহান বাদশাহ্ এর বিশেষ উদ্যোগে দেড়শত বছরের পুরানো চরে জ্বালানো হলো বিদ্যুতের আলো।অফ গ্রীড বিদ্যুৎ এলাকাকে রুপান্তর করা হলো অন গ্রীড এলাকায় তার-ই অংশ হিসেবে গত ৩ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হলো বিদ্যুতের এই আলো আর এই আলোয় আলোকিত হবে চরের প্রায় অর্ধ লক্ষ জনগন, প্রথম পর্যায়ে পাবে দুই ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে আট হাজার বিদ্যুতের মিটার আর এই মিটার বা বিদ্যুতের সংযোগ কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাতের একটি চক্র ভিন্নরকম মিশন নিয়ে নেমেছে মাঠে আর তারই বলির পাঠা হিসাবে বেছে নিয়েছে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল কে। চর এলাকার মানুষের বহুল কাঙ্ক্ষিত এই বিদ্যুৎ যেন তারা নিরাপদে ব্যবহার করতে পারে তারই অংশ হিসেবে নেয়া হচ্ছে প্রতিটি বাড়িতে ওয়্যারিং ব্যবস্থা।পল্লী বিদ্যুৎ এর ভাষ্যমতে এই ওয়্যারিং গুলো করতে পারবে শুধুমাত্র পল্লী বিদ্যুতের তালিকা ভুক্ত টেকনিশিয়ানরা অথচ এই চরাঞ্চলে বিএনপি-জামাত সমর্থিত কিছু ব্যক্তি নন টেকনিশিয়ান দ্বারা এই বাড়ীঘরগুলো নিম্ন মানের পন্য দিয়ে ওয়্যারিং এর কাজের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের একটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে আর সেখানে বাধা প্রদান করে সিরাজ মন্ডলের সমর্থীত কিছু লোক আর সেটিই উল্টো ভাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডলের উপর।এ বিষয়ে সিরাজ মন্ডল এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি কোন ভাবেই ওয়্যারিং এর কাজের সাথে জড়িত নই কারণ আমি নিজেও টেকনিশিয়ান না এবং কোন ইলেকট্রিক ব্যবসার সাথেও জড়িত নই।তবে আমার এলাকায় কেউ নিম্ন মানের পন্য দিয়ে বা নন টেকনিশিয়ান দ্বারা ওয়্যারিং করিয়ে দিবে সেটিও মেনে নিব না।নিরাপত্তা বলে একটি কথা থাকে। আমার নেতা সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ ভাই এর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ওয়্যারিং এর ক্ষেএে কেউ যেন কোন দূর্নীতির আশ্রয় না নিতে পারে সে দিকেও আমার সজাগ নজর থাকবে। সামনে আমার নির্বাচন এই নির্বাচন কে সামনে রেখে বিএনপি -জামাত সমর্থীত একটি চক্র আমার জনপ্রিয়তা দেখে এমন ধরনের অপপ্রচার করছে।তবে তাদের উদ্দেশ্য করে আমি বলতে চাই এমন ধরনের অপপ্রচার করে কোন লাভ হবে না।আমি শেখ হাসিনার রাজনৈতি করি, আমি মাহাবুব-উল-আলম হানিফ ভাই ও সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এর রাজনৈতি করি।চর বাসী আমাকে ভালো বাসে আমিও চর বাসীকে ভালো বাসি।আমার নৌকা কে কেউ চেষ্টা করেও ডুবাতে পারবে না।
Uncategories
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডলের নৌকাকে ডুবানোর জন্য মাঠে মরিয়া বিরোধী দল
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)